এক বছর আগে ঠিক এই সময়ই তাঁরা ভেবেছিলেন, দুর্গাপুজোর সময় শহরে থাকতে পারবেন না। তাই কেরল ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। মেয়েকে নিয়ে ২০২২ সালের দুর্গাপুজোটা দক্ষিণ ভারতেই কাটিয়ে ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ মৃত্যু হয় অভিষেকের। ঘটনাটা মেনে নেওয়াই কঠিন ছিল স্ত্রী সংযুক্তা এবং মেয়ে সাইনা চট্টোপাধ্যায়ের। তাই গত বছর দুর্গাপুজো করার কথা ভাবতেও পারেননি। এক বছরের বেশি হয়ে গেল অভিষেক নেই। যদিও প্রতিটি মুহূর্তে, পদক্ষেপে অভিনেতার উপস্থিতি উপলব্ধি করেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে। তাই গত বছর পুজো বন্ধ থাকলেও এ বছর পুরোদমে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সংযুক্তা। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেই, এই সব কিছু আয়োজন করার শক্তি জোগাচ্ছেন অভিষেকই। এই বছর বিশ্বকর্মা পুজোও ধুমধাম করে উদ্যাপন করেছেন তাঁরা। অভিষেকের অবর্তমানে এই প্রথম দুর্গাপুজো। কী ভাবে পরিকল্পনা করছেন সংযুক্তা?
আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “অভিষেক নেই তো নয়। ও তো সব সময় রয়েছে আমার পাশে। গত বছরটা একেবারেই মন ভাল ছিল না। তখনও মেনে নিতে পারিনি। তার পর ধীরে ধীরে উপলব্ধি করলাম অভি তো কোথাও যায়নি। আমাদের সঙ্গেই আছে। দুর্গাঠাকুরের বায়না দিয়ে দিয়েছি। ফেসবুকে একটি মেয়েকে দেখেছিলাম সুন্দর সব মূর্তির ছবি পোস্ট করতে। ওকে জিজ্ঞেস করায় বলল ওর বাবা করেন। ওঁকেই দিয়েছি। মায়ের জন্য বেশ কিছু শাড়ি কিনেছি। নিজেরও শাড়ি কিনেছি। আর আমার মেয়ের এ বছর খুব লেহঙ্গা পরার শখ হয়েছে। ওর অনেকগুলো লেহঙ্গা চোলি কিনেছি। আর এই সব কিছু পরিকল্পনা করার জন্য আমি জানি যে পাশে আছে অভি।”
যে কোনও কাজ করার আগে অভিষেককেই স্মরণ করেন সংযুক্তা। মেয়েকে ভাল করে মানুষ করাই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ। তবে পরবর্তীকালে অভিষেকের মেয়ে সাইনারও ইচ্ছা বাবার মতো বড় পর্দায় অভিনয় করা। আপাতত যদিও সে মন দিয়েছে পড়াশোনায়।