বুধবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের নিয়ে ধর্মতলায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই সমাবেশের আগেই প্রচারের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আজ সমাবেশের প্রচারের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করতে আসছেন বলেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
বুধবার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির বিরাট সভা। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। ফলে এই সমাবেশের জন্য শেষ বেলার প্রচারে সোমবার শহরে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে গড়িয়াহাট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার ডাকে শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়ে জনসভা করে বিজেপি। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই প্রচার কর্মসূচি থেকে তৃণমূলকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী সভার স্থল পরিদর্শন করেছে। কলকাতা পুলিশের অধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রস্তুতিও চলছে।
গড়িয়াহাট থেকে যে মিছিল হয় তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ সহ একাধিক নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন,”শুনলাম লোকসভার প্রস্তুতি নিয়ে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বৈঠক হলো। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না। উনি নিজেও আসেননি। আসলে শুনেছেন অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন। তাই ভয়ে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না।
একই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, ২৯ তারিখ তৃণমূলের মতো বিরিয়ানি, ডিম ভাতের ভিড় হবে না। তৃণমূল তো ভয় দেখিয়ে লোক আনে। আমাদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ আসবে। আমরা পয়সা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রেন ভাড়া করেছি। যত মানুষ আসতে চাইছেন তার একাংশ মানুষকে আমরা আনতে পারছি। কারণ সবাইকে আনতে গেলে যত ট্রেন, বাস ভাড়া করতে হবে, সেই টাকা আমাদের নেই। তারপরেও রেকর্ড ভিড় হবে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা, কুণাল ঘোষ বলেছেন, তৃণমূলের একুশে জুলাই শহিদ তর্পনের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। একই জায়গায় সভা করলেও সেই ঐতিহ্যের সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। কুণালের কথায়, কাকের পিছনে ময়ূর পুচ্ছ গুঁজে দিলেই সে ময়ূর হয় না, কাকই থাকে।