রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারেন, কিন্তু ভারতবর্ষের সংবিধানের আইনের কাছে অভিষেক নেংটি ইঁদুর ছাড়া কিছুই নন। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে কেন অভিষেকের ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাই রাজভবনের সামনে জমায়েত করা যায় না। আইন অনুযায়ী পাঁচ জনের বেশি সেখানে দাঁড়াতে পারবেন না। সেখানে অভিষেক কিভাবে ধর্না মঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখান? তিনি রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশের কাছে অভিষেক আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারেন কিন্তু ভারতবর্ষের সংবিধানের আইনের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেংটি ইঁদুর।
প্রসঙ্গত, রাজভবনের গেটের বাইরে ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকলেও তৃণমূল কিভাবে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসার পর থেকে এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত শুভেন্দু তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি ১৪৪ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি নবান্নেও রাজভবনের তরফে এই প্রশ্ন তুলে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল ফিরে আসার আগেই নবান্নে সেই চিঠি পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। নবান্নে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে এমন এলাকায় মঞ্চ বাঁধার অনুমতি কি পুলিশ দিয়েছিল? যদি দেওয়া হয়ে থাকে তবে কে দিলেন এবং কোন আইনের বলে? যদি অনুমতি ছাড়াই ধর্না মঞ্চ বাধা হয়ে থাকে এবং তিন দিন ধরে বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তবে পুলিশ এখনো পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
এক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক সাংসদরাও রাজভবনে জমায়েত হয়ে যান, তখন কি আইন লঙ্ঘন হয় না? রাজ্যের শাসক দলের এই প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপির প্রতিনিধি রাজভবনের গেটের বাইরে কখনো জমায়েত করেনি। ভেতরে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন আর তার জন্য কখনো ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন হয়নি। তৃণমূল ও সেটাই করতে পারত কিন্তু তারা যে কাজ করেছেন তাতে আইন লঙ্ঘন হয়েছে।