দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিনিধি দল দেখা করলে তো মন্ত্রী রাজ্য সরকারকে উলঙ্গ করে দিতেন। সেই জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। এমনটাই দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দিল্লির কর্মসূচিকে তৃণমূলের ড্রামাবাজি বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে তড়িঘড়ি কাজ সেড়ে দিল্লি ফিরেছিলেন। প্রথমে কৃষি মন্ত্রী পাঁচ জন তৃণমূল সাংসদকে তার সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছিলেন। তারপর চাহিদা মতো ৬ জনকেও সময় দেন তিনি। এরপর তৃণমূল জানায় সব সাংসদদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে হবে। সেই অনুযায়ী তৃণমূলের সব সাংসদদের সঙ্গেও দেখা করার জন্য সময় দেন মন্ত্রী, কিন্তু তারপর তৃণমূল দাবি জানায়, জনতার সঙ্গে কথা বলতে হবে তাতেও রাজি হন মন্ত্রী। কিন্তু তিনি বলেছিলেন আগে সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন, সমস্যাটা কী তা জানবেন, তারপর বাকিদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু তাতে তৃণমূলের লোকজন বলেন না, আগে জনতার সঙ্গে কথা বলতে হবে। সুকান্তর দাবি, এর থেকে স্পষ্ট কোনো ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রীর সামনাসামনি হতে চাইছিল না, কারণ তাহলে মন্ত্রী সব ফাঁস করে দেবেন। মন্ত্রী সমস্ত তথ্য দিয়ে উলঙ্গ করে দেবেন, কারণ সব তথ্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে।
৫ অক্টোবর তৃণমূলের রাজভবন অভিযান নিয়ে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল যা ইচ্ছে করুক কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে পালিয়ে কেন গেলেন? তারা ভয়ে পালিয়ে এসেছেন, কারণ নিজের কাছে যুক্তি নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, বিজেপি ৫০ জন জনতা নিয়ে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কি তিনি দেখা করবেন? দম আছে তাঁর?