অঙ্ক ও ইংরেজির ভীতি কাটাতে প্রশিক্ষিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাহায্যে ক্ষুদেদের স্কুলে ক্লাস নয়, কোচিং ক্লাস করানো হবে বলে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাহায্যে অঙ্কুর প্রকল্পে এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রক এই প্রকল্প স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অঙ্কুর নামক এক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার জঙ্গল মহল সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রাথমিক স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের অঙ্ক ও ইংরাজির ভীতি দূর করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। একটি বেসরকারি সংস্থা এই বিষয়ে সহযোগিতা করছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এই খবর প্রচারিত হওয়ার পরই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।সিভিক ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের ক্লাস নেওয়ার এই কথা চাউর হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
আজ জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অঙ্কুর নামক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ১৫০টি কেন্দ্র থেকে জঙ্গল এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদেদের অঙ্ক ও ইংরেজি ভীতি কাটানোর পাশাপাশি সাহস যোগানোর পাঠ দেওয়া হবে। কোনও স্কুলে বা স্কুলে পঠন পাঠনের সময় নয়, ওই সময় বাদ দিয়ে এই ক্লাস হবে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, ইতিপূর্বে উত্তরন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাব্লিউ বি সি এস, ইউ পি এস সি সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার কোচিং প্রদান, পলক প্রকল্পের মাধ্যমে চক্ষু পরীক্ষা ইত্যাদি সমাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই জঙ্গল মহল সহ পিছিয়ে পড়া এলাকার প্রাথমিক স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি।
এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, সিভিক ভলান্টিয়াররা অঙ্ক, ইংরেজি ক্লাস নেবে এটা চরম লজ্জার।