ছত্তীসগঢ়ে সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের খুনের তদন্তে নেমে এ বার নয়া সূত্র পেল পুলিশ। জানা গেল, ধৃত তিন জনের মধ্যে এক জন নিহতের ভাই রীতেশ চন্দ্রকর। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলছে সাংবাদিক খুনের নেপথ্যে প্রকৃত কারণ সন্ধানের চেষ্টা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশের খুড়তুতো ভাই রীতেশ। গত ১ জানুয়ারি রাতে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মুকেশের একটি বৈঠকের আয়োজন করেন তিনি। বৈঠকের পর থেকেই ফোন বন্ধ হয়ে যায় মুকেশের। আর বাড়িও ফেরেননি ওই সাংবাদিক। মুকেশের দাদা যুকেশও পেশায় সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি ওই ঠিকাদারের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাঁর ভাই। এ জন্যই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। মুকেশের পরিবারের দাবি, দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকে তাঁকে নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হত। কিন্তু সে সবকে উপেক্ষা করেই এত দিন সত্যকে প্রকাশ্যে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুকেশ।
জানা গিয়েছে, খুড়তুতো ভাই রীতেশের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল নিহত সাংবাদিকের। যেখানে মুকেশের দেহ মিলেছে, মাঝে মাঝেই সেখানে দেখা করতে যেতেন দু’জনে! কিন্তু ঠিকাদারের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। মুকেশ-হত্যার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দীনেশ নামে এক যুবক। তিনিও মুকেশদের আত্মীয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া, মুকেশের দেহ লোপাটে সাহায্য করার জন্য ওই ঠিকাদারের এক কর্মী মহেন্দ্র রামটেকেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ঠিকাদার সুরেশ এখনও ফেরার।
সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সুবাদে বস্তার এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন ২৮ বছর বয়সি মুকেশ। পাশাপাশি, নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে জেলার নানা রকম খবর তুলে ধরতেন তিনি। জনপ্রিয় ওই চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষেরও বেশি। গত ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মুকেশ। এর দু’দিন পর ৩ জানুয়ারি বস্তারে ঠিকাদার সুরেশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এ হেন সাংবাদিক খুন হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশে। ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই।