প্রতিযোগিতার মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছিলেন ভরত অরুণ। তাতেই বদলে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারেরা। কেকেআরের বোলিং কোচ জানালেন শুধু একটি বদল করেছিলেন তিনি। তাতেই জয়ের ঠিকানা লেখা ছিল বলে মত অরুণের।
ইডেনে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২৬১ রান তুলেও হারতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে সেই হার নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দলকে। অরুণ মনে করেছিলেন যে, পরিকল্পনা বদলাতে হবে। তিনি বলেন, “প্রতিযোগিতার মাঝে আমরা বোলারদের পরিসংখ্যান নিয়ে বসেছিলাম। কোন লেংথে বল করে আমরা সব থেকে বেশি উইকেট পেয়েছিলাম এবং রান আটকে রাখতে পারছিলাম, সেটা বার করি। মজার ব্যাপার দেখতে পাই। যে লেংথে আমরা বল করে সাফল্য পেয়েছি, সেই লেংথে বল করলে আবার ছক্কাও মেরেছে ব্যাটারেরা।”
সেই কারণে অরুণেরা দ্বিতীয় একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন। ভারতের প্রাক্তন বোলিং কোচ বলেন, “আমরা প্ল্যান বি তৈরি করি। অফ স্টাম্পের বাইরে বল করলে ব্যাটারেরা এখন মেরে দিচ্ছে। সেই কারণে আমরা অফ স্টাম্পের বাইরে বল করার সঙ্গে স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করা শুরু করি। সেই ডেলিভারিতেই উইকেট আসতে শুরু করে। মার খেলেও তাই আমাদের বোলারেরা আর ভয় পেত না। বোলারেরা অফ স্টাম্পের বাইরে বল করে মার খেলে অন্য লেংথে বল করতেও তৈরি থাকে। এর ফলে সাফল্য আসতে শুরু করে।”
আইপিএলের শুরুতে যে মিচেল স্টার্ক প্রতি ম্যাচে ৫০ রান করে দিচ্ছিলেন, তিনিই প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনালে ম্যাচের সেরা হন। ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বোলারেরা শেষ করে দিয়েছিল। মাত্র ১১৩ রান তুলতে পেরেছিলেন প্যাট কামিন্সেরা। অরুণের পরিকল্পনা যে কাজে লেগেছিল তা বোঝাই যাচ্ছে। অরুণ বলেন, “আমাদের দলে ছ’জন বোলার তৈরি ছিল পুরো চার ওভার করার জন্য। অধিনায়কের উপর নির্ভর করত কাকে দিয়ে সে বল করাবে। বড় নামের পিছনে আমরা দৌড়াইনি। ওই দিন যে ভাল বল করেছে, তাঁকে দিয়ে পুরো চার ওভার করানো হয়েছে।”