মুসলিম পুরুষদের চার বিয়ে নিষিদ্ধ করতে অচিরেই বিল আনা হবে বিধানসভায়, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
বিশ্বশর্মা ঘোষণা করেছেন, তার রাজ্যে মুসলিম পুরুষদের চার বিয়ে নিষিদ্ধ করা হবে। তার জন্য বিধানসভায় খুব তাড়াতাড়ি বিল আনা হবে। বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তকে ঘুর পথে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু বলেই মনে করছেন।

বহু বিবাহ আটকানোর উপায় খুঁজতে গিয়ে অসম সরকার দুই মাস আগে একটি কমিটি গঠন করেছিল। গুয়াহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি শনিবার তাদের সুপারিশ সরকারের হাতে জমা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুসলিমদের চারটে বিয়ে কোনো ধর্মীয় বিধান নয়। ইসলামে এমন কোনো বিধানের উল্লেখ নেই। এটি একটি প্রচলিত ব্যবস্থা। এটি নিষিদ্ধ করা হলে কারো কোনো অধিকার খর্ব করা হবে না।

ইতিমধ্যেই বাল্যবিবাহ আটকাতে অভিযান চালিয়েছিল অসম সরকার। সেই অভিযানের সময় দেখা যায়, অনেক মুসলিম পুরুষ ধর্মীয় বিধানের যুক্তিতে একাধিক বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে আবার অনেকেরই স্ত্রীরা নাবালিকা। তখনই বহু বিবাহ আটকানোর উপায় বের করতে কমিটি তৈরি করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিধানসভায় বিল এনে আইন করা হলেও তাদের রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন হবে। কারণ, ১৯৩৭ সালের একটি আইনে মুসলিমদের সর্বোচ্চ চারটি বিয়ের ব্যক্তিগত অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনের বিপরীত পথে হাঁটতে হলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দরকার।

অনেকেই মনে করছেন হিমন্তের এই সিদ্ধান্ত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার লক্ষ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ।বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই এই বিধি চালু করেছে। গোটা দেশে তা চালু করার বিষয় ভারত সরকার আলোচনা শুরু করেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলি যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

অসমেও বিজেপির হিমন্ত সরকার এর আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে একাধিবার মুসলিম সমাজকে নিশানা করেছে। সংখ্যালঘু সামাজিক বিশিষ্টজনদের নিয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক করেছে। একই সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিককরণেও হাত দিয়েছে। বেআইনি মাদ্রাসা বন্ধ করার অভিযান সে রাজ্যে এখনো চলছে। অসম সরকারের বক্তব্য, অনেক মাদ্রাসায়, অনুপ্রবেশকারীরা শিক্ষক হিসেবে যুক্ত। যারা ভারত বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.