চিতাবাঘের সঙ্গে মরণপণ লড়াই, বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন ৬৫’র বৃদ্ধ

চিতাবাঘের সঙ্গে মরণপণ লড়াই। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। শুনে গল্প মনে হলেও ঘটনাটি পুরোপুরি সত্যি। বৃদ্ধের নাম নর বাহাদুর রাই। তিনি অবশ্য গুরুতর জখম হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার বীরত্বের কাহিনী মিরিকবাসীর মুখে মুখে ঘুরছে।

নামেই রয়েছে বাহাদুর। তিনি যে বাহাদুরের মতোই কাজ করবেন, তা আশা করাই যায়। মিরিকের বাসিন্দা নরবাহাদুর রাই। মিরিকের তারাবাড়ির বাসিন্দা তিনি। শনিবার বিকেলে বাড়ির থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে তিনি ফুল বাগানে ঘাস কাটছিলেন। ঠিক ওই সময় অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালায় এক পূর্ণ বয়স্ক লেপার্ড। তবে তাতে তিনি মোটেও দমে যাননি। তিনি ঘুরেই চিতাবাঘটির উপর চড়াও হন। বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে লড়াই চলে। ওই সময় নরবাহাদুরকে কামড়ে, আঁচড়ে গুরুতর জখম করে চিতাবাঘটি। তবুও তিনি লড়াই করে গিয়েছেন প্রাণে বাঁচার জন্য।

ওই বৃদ্ধের চিৎকারে আশেপাশের বাসিন্দারা দৌড়ে যান। তাতেই চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। তারাবাড়ির বাসিন্দারা নরবাহাদুর রাইকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যান। পরে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের সারা শরীরেই আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা চলছে। এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দা লীলা থাপা বলেন, “চিৎকার শুনেই বেরিয়ে দেখি লেপার্ডটি জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গেল। বৃদ্ধকে কামড়ে, আঁচড়ে জখম করে দিয়েছে। তবে এই বয়সেও সাহসের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তার এই বীরত্বকে অবশ্যই সম্মান জানাই।” বনদপ্তর সূত্রে খবর, ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ রয়েছে। খাওয়ারের সন্ধানেই তারা মাঝেমধ্যে লোকালয়ে চলে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.