বাড়ি ফাঁকা পেয়ে বার বার ঢুকে পড়তেন তিন যুবক। বাড়িতে একা থাকত কিশোরী। অভিযোগ, তিন জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। এক বার নয়, একাধিক বার। ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সেই কিশোরী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কন্যার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কথা জানতে পারেন মা। পকসো ধারায় অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা রুজু করেছেন। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি তেলঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার। নির্যাতিতা কিশোরী গ্রামের স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশকে কিশোরী জানিয়েছে, তার বাড়িতে মা না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রায়ই ঢুকতেন তিন যুবক। তাকে যৌন হেনস্থা করতেন তাঁরা। ভয়ে এ কথা সে কাউকে বলতে পারেনি। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সেই তথ্য জানাজানি হয়ে গিয়েছে।
সিদ্দিপেটের এসিপি জি মধু জানিয়েছেন, ডুবাক্কা মণ্ডলের একটি গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা কিশোরী। সম্প্রতি সে অসুস্থ বোধ করায় স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে তার মা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। শারীরিক পরীক্ষা করার পর জানা যায়, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার মা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে। কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে এক জন কিশোরীর পরিবারের প্রতিবেশী। একই গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দু’জন অন্য গ্রামে থাকেন। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে ওই তিন জন বার বার কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার মা বাড়িতে যখন থাকতেন না, সেই সময়ে ঢুকতেন তাঁরা। নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতেন কিশোরীকে। সেই সময়েই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।