৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই নির্দেশ খাতায় কলমে থাকলেও ট্রেনগুলির আসল চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। স্টাফ স্পেশালে করে এতদিন সাধারণ মানুষ কর্মক্ষেত্রে পৌঁছচ্ছিলেন। তবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও ট্রেনে ভিড় কমছে। আর ভিড় সামলাতে এবার ট্র্যাকে অতিরিক্ত ট্রেন নামাচ্ছে রেল।
পুজোর পর করোনা সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে রাজ্যে। এই আবহে লোকাল ট্রেনে অসেচতন ভাবেই যাত্রা মানুষজনের। সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কে ও ভিড় সামলাতে তাই হাওড়া-খড়গপুর লাইনে আরও ৪০টি লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
রবিবার থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ফের চালু হয় রাজ্যে। ৪৮ টি লোকাল ট্রেন দিয়ে পরিষেবা চালু করেছিল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। আরও ৫৬টি ট্রেন ট্র্যাকে নামাচ্ছে রেল। এর ফলে আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে ১০৪টি লোকাল ট্রেন চলবে এই লাইনে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪৭ করা হবে বলে জানিয়েছে রেল।
খড়্গপুর শাখায় শুক্রবার থেকেই লোকাল বাড়ানো হচ্ছে। মেদিনীপুর-হাওড়া লাইনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ২৭ টি ট্রেন চালানো হবে। বর্তমানে এই লাইনে মাত্র ১৩টি ট্রেন চলছে। এদিকে খড়্গপুর-হাওড়া লাইনে আরও ১৩ টি ট্রেন চলবে। খড়গপুর শাখায় সব মিলিয়ে ৪০টি নতুন লোকাল ট্রেন চালু হবে আগামী কয়েকদিনেই। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সমস্ত শাখা মিলিয়ে ১০৪ টি লোকাল চলা শুরু করবে আগামী সোমবারের মধ্যে। পরে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এদিকে সব শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও ঝাড়গ্রাম শাখায় একটিও লোকাল চালু করা হয়নি। তাই এখানকার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। এই শাখায় মাত্র ২ টি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে বর্তমানে। কোভিডের আগে এই শাখাতেই ৯টি লোকাল ট্রেন চলত।