শুরু হয়ে গিয়েছে একুশের নির্বাচনের কাউন্টডাউন৷ ক্রমশ তপ্ত হচ্ছে ভোট ময়দান৷ রাজ্যে সুষ্ঠভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই এখন নির্বাচন কমিশনের প্রধান মাথাব্যাথার কারণ৷ রাজ্যে নির্বাচনী হিংসার ইতিহাস মাথায় রেখে কোনও রকম ফাঁক ফোকড় রাখতে চাইছে না তাঁরা৷ তাই আগে ভাগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসলেন কমিশনের আধিকারিকরা৷ জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন তাঁরা৷
পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি ভোট হচ্ছে আরও চার রাজ্যে৷ তবে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা রয়েছে বাংলাতেই৷ ফলে এ রাজ্যে সুষ্ঠ নির্বাচন করাতে আগে থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে কমিশন৷ বাংলার নির্বাচনী হিংসার ইতিহাস বেশ পুরনো৷ বারবার নির্বাচনে রক্ত ঝরেছে রাজ্যে৷
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ৭৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল৷ এবার পরিস্থিতি আরও জটিল৷ তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আরও ৫১ কোম্পানি বেশি বাহিনী চেয়েছে কমিশন৷ জানা গিয়েছে, রাজ্যে সাত দফা ভোট হতে চলেছে৷ এর আগেই রাজ্যে চলে আসবে আধাসেনা বাহিনী৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন৷
এক মাসের মধ্যে তিনি ফের রাজ্যে আসায় শুরু হয়েছে জোড় জল্পনা৷ রাজ্যে ভোট কবে, সেই চর্চা এখন তুঙ্গে৷ তবে রাজ্যে যে তৎপরতার সঙ্গেই ভোট প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে সেই খবর মিলেছে৷ আজ বুধবার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে বসার কথা সুদীপ জৈনের৷
প্রথম দফায় দক্ষিণ বঙ্গের জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের সঙ্গে সশরীরে বৈঠক করবেন তিনি৷ ভার্চুয়ালি সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা৷ দ্বিতীয় দফায় শুধুমাত্র জেলাশাসকদের সঙ্গেই বৈঠক করবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার৷ এবারের ভোটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নিজির গড়তে চায় তাঁরা৷ গতমাসে রাজ্যে এসেও একাধিক পরামর্শ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷