৮ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার ব্যর্থ, মৃত্যু হল লরির ধাক্কায় হাত কেটে যাওয়া অটোর মহিলা যাত্রীর

 আট ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার বিফলে গেল। অটোয় চড়ে কাজে যাওয়ার পথে হাত কেটে আহত মহিলা যাত্রী রেবা মণ্ডলের মৃত্যু হল। এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) তার মৃত্যু হয় রবিবার ভোরে। আট ঘন্টারও বেশি অস্ত্রোপচার সফল হলেও তা শেষ পর্যন্ত কোনও কাজে এল না। প্রাণে বাঁচলেন না রেবা। 

শনিবার সকালে অটো চড়ে রান্নার কাজ করতে আসছিলেন রেবা মণ্ডল। সেই সময় কয়লা মোড়ের কাছে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে (Accident)। তাতেই তাঁর ডান হাত কেটে রাস্তায় পড়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভির (CCTV) ফুটেজ দেখে জানতে পারে, ম্যাটাডোরের সঙ্গে অটোর ধাক্কা লাগেনি, বরং ধাক্কা লাগে টোটোর সঙ্গে। ওই অটোটি অন্য একটি অটোকে ওভারটেক করে এগিয়ে যাচ্ছিল। তখন এই ধাক্কার ঘটনা ঘটে। হাতটি কেটে পড়ে যায় টোটোতে। রেবাও রাস্তার উপর পড়ে যান। টোটো চালক ভয়ে পড়ে গিয়ে কাটা হাত রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় অবৈধ অটোর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়ার গ্রামীণ জেলা জুড়ে প্রায় হাজার পঞ্চাশেক অবৈধ অটো চলে। এই অটোগুলি আবার গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়। সবচেয়ে বড় কথা হল চালকের ডানদিকেও তাঁরা যাত্রী তোলে। এছাড়া অটোর মাঝের যে আসন সেখানেও তিনজনের জায়গায় গাদাগাদি করে চারজন তোলে। ফলে অটোর দু’ধারের বসা যাত্রীদের শরীরের অর্ধেক অংশ অটোর বাইরে বেরিয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় ডানদিকের যাত্রীরা ধাক্কার জেরে মারা পর্যন্ত গিয়েছে।

পুলিশ দু-চার দিন অটোচালকদের আইন মানার জন্য চাপাচাপি করে। তারপর যে কে সেই অবস্থা হয়। কোন নিয়মের ধার ধারে না অটো চালকরা। তবে এক্ষেত্রে অটোচালকদের বক্তব্য, যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের একটা অংশ অবৈধভাবে গাড়িদের থেকে টাকা তোলে। তাদেরকে টাকা দেওয়ার জন্যই বাধ্য হয়ে অবৈধভাবে বেশি যাত্রী তোলে অটো চালকরা। এ ব্যাপারে গ্রামীণ এলাকার সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য বলেন, ”এমন ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের দল অবৈধভাবে টাকা তোলা কখনোই মদত দেয় না। যদি কেউ এরকম করে থাকে বা কোথাও হয়ে থাকে আমরা দলগতভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.