পুরীর সেই কিশোরীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ভুবনেশ্বরের এমসে ভর্তি রয়েছে সে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে (ডিপ বার্ন)। ভেন্টিলেশনে না রাখা হলেও তাকে আইসিইউতে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। কিশোরীর চিকিৎসার জন্য ১৪ সদস্যের মেডিক্যাল দল গঠন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাস্তায় তার গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এমস ভুবনেশ্বরের বার্ন বিভাগের প্রধান সঞ্জয় গিরি জানিয়েছেন, কিশোরীর অবস্থা সঙ্কটজনক। পুড়ে যাওয়ার কারণে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। হাত-পা, পিঠের অংশও পুড়ে গিয়েছে। দিল্লি এমসের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিমানে চাপিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে তাকে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিশোরী সাড়া দিচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেও সাহায্য করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার সকালে মেয়েটির রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিলেন তিন জন। কিছু ক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, তার পরেই মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালান তিন জন। দগ্ধ অবস্থায় রাস্তায় ছটফট করছিল মেয়েটি। কয়েক জন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর যায় পুলিশের কাছে। পরে মেয়েটিকে ভুবনেশ্বর এমসে স্থানান্তর করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কিশোরীর হাত-পা এবং গলা পুড়ে গিয়েছে।
মেয়েটির পরিবারের দাবি, এক বন্ধুকে বই দেওয়ার জন্য সকালে বেরিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত শত্রুতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে তারা। তা ছাড়া প্রণয়ঘটিত কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছে পরিবার। অন্য দিকে, পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারেনি। পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে ওড়িশার বালেশ্বরের এক কলেজে গায়ে আগুন দেন এক ছাত্রী। তিনি এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ছাত্রীর।

