টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল ছন্দে রয়েছেন ভারতের তরুণ জোরে বোলার আরশদীপ সিংহ। তিনটি ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফিরিয়েছে টেম্বা বাভুমা এবং কুইন্টন ডি’কককে। যদিও নিজের এই সাফল্যের কৃতিত্ব আরশদীপ দিয়েছেন এক সতীর্থকে।
আরশদীপের দাবি, তাঁর সাফল্যের আসল কারণ ভুবনেশ্বর কুমার। আরশদীপ বলেছেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক ব্যাটারের দুর্বলতা বোঝায় চেষ্টা করি। ভুবনেশ্বর কুমার এবং আমি চেষ্টা করি শুরুর দিকে সুইয়ের মাধ্যমে ব্যাটারকে পরাস্ত করতে। ভুবি ভাই দুর্দান্ত বল করছে শুরুতে। ওর বিরুদ্ধে ব্যাটাররা রান নিতে পারছে না। চাপে প়ড়ে যাচ্ছে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছি। আগ্রাসী বোলিং করার সুযোগ পাচ্ছি। ভুবি ভাইয়ের অনবদ্য বোলিংয়ের জন্যই সাফল্য পাচ্ছি।’’
ভুবনেশ্বরের সঙ্গে বোলিং আক্রমণ শুরু বেশ উপভোগ করছেন আরশদীপ। বাঁহাতি জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘আমার সাফল্যের আসল কৃতিত্ব ভুবি ভাইয়ের। ব্যাটাররা ওর বিরুদ্ধে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না। তাই আমাকে বেছে নিচ্ছে। তাতেই সাফল্য আসছে। আমরা শুরুতে একটা ভাল জুটি তৈরি করতে চাইছি। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও ভাল জুটি তৈরি করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যায়।’’
পাকিস্তান ম্যাচের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও শুরুতেই উইকেট পেয়েছেন। বাবর আজ়ম, কুইন্টন ডি’ককের মতো ব্যাটরকে আউট করেছেন। শুরুতে উইকেট পেলে আত্মবিশ্বাস কতটা বাড়ে? আরশদীপ বলেছেন, ‘‘শুরুতে উইকেট পেলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। দলও আস্থা রাখতে পারে আমার উপর।’’ এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে যে সব উইকেটে বল করেছেন, সেগুলোর মধ্যে পার্থের উইকেট দ্রুততম। কেমন অভিজ্ঞতা হল পার্থে বল করে? উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ভারতীয় দলের তরুণ সদস্য। আরশদীপ বলেছেন, ‘‘বল করার জন্য এই উইকেটটা দুর্দান্ত। যে কোনও জোরে বোলারেরই স্বপ্ন থাকে পার্থের ২২ গজে বল করার। এর আগে কখনও এত গতিময় উইকেট বল করিনি। দারুণ অভিজ্ঞতা।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই উইকেটে বল করার সময় সব বোলারকেই তার লেংথ একটু পরিবর্তন করতে হয়। দিনের বেলা বল একটু সুইং করে। সকলেই ফুল লেংথে বল করতে চাইবে এখানে। বেশি সাহায্য না পেলেও নিয়মিত লেংথে বল করলেই হয়।’’
আরশদীপের মতে রবিবার দু’দলের বোলাররাই উইকেটের সাহায্য পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সব বোলারই উইকেট ভাল ভাবে কাজে লাগিয়েছে। পরিকল্পনা মতো বল করেছে সকলে।’’