ঝাড়খণ্ডের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন বাঙালি পর্যটকরাও। জানা গিয়েছে, ঘটনায় দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ৭ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
রবিবার বিকেলে ত্রিকূট পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে রোপওয়েতে উঠেছিলেন পর্যটকরা। তখন বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে তার সমেত রোপওয়ে ছিঁড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে একাধিক পর্যটকের মৃত্যু হয়। আটকে পড়েন বেশ কিছু পর্যটক। জানা যায়, আটকে থাকা পর্যটকদের মধ্যে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ৭ জন রয়েছেন। এই ৭ জনের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক মহিলা সহ ৩ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকিদের যাতে নিরাপদে নামিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন ২০ জন। ২৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সহকারী কম্যান্ডার বিনয় কুমার জানিয়েছেন, আটকে পড়াদের জল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিপত্তি বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজন্ত্রি জানিয়েছিলেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যায় এনডিআরএফ। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে বলে খবর।