রাজ্য জুড়ে রবিবার টেটের আয়োজন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা দিতে বসেছেন মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। বেলা ১২টা থেকে শুরু হল বহু প্রতীক্ষিত টেট।
টেটকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্ষিপ্ত গোলযোগের খবর পাওয়া যায় সকাল থেকে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি করে ফেলেন অনেক পরীক্ষার্থী। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও একই ছবি দেখা যায়। পর্ষদের তরফে যে কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময়সীমা কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার টেট নিয়ে আগেই পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এসে পৌঁছেছেন। পরীক্ষায় বসার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন তাঁরা। পরে পর্ষদের তরফে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময়সীমা বাড়িয়ে ১১.৪৫ করে দেওয়া হয়।
সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে পর্ষদের তরফে আলাদা করে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। যেখানে যেখানে পরীক্ষার্থীরা দেরিতে এসেছেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা পর্ষদের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ১১.৪৫ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে দেন। কলকাতার টাকি বয়েজ স্কুলে দেখা যায়, ১১.৫৯-এও পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকছেন কেউ কেউ।
ব্যাগ রাখা নিয়ে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সমস্যায় পড়েছেন টেট পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, পর্ষদের তরফে ব্যাগ রাখার বন্দোবস্ত করা হয়নি। ফলে বাইরে থেকে যাঁরা পরীক্ষা দিতে এসেছেন, যাঁদের সঙ্গে কোনও অভিভাবক আসেননি, তাঁরা ব্যাগ রাখার জায়গা খুঁজে পাননি। কর্তৃপক্ষও কোনও সহায়তা করেননি বলে অভিযোগ। কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে দোকানে টাকা দিয়ে ব্যাগ রাখার সাময়িক বন্দোবস্ত করে নিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। কোথাও কোথাও রাস্তার উপরেই ব্যাগ রেখে টেট দিতে ঢুকতে হয়েছে। বোলপুরে ব্যাগ রাখা নিয়ে অব্যবস্থার অভিযোগে পরীক্ষা শুরুর আগে বিক্ষোভ দেখান এক দল পরীক্ষার্থী। পরে স্কুলের তরফে ব্যাগ রাখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
ধূপগুড়ির একটি টেট কেন্দ্রে ব্যাগ রাখার জন্য পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। একই ছবি ছিল কলকাতার বেশ কয়েকটি স্কুলেও।