পুরুষদের মতোই কর্ম দক্ষ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। তবুও বাড়তি কিছু দায়িত্ব নারীর রয়েছে। যা অমান্য করা যায় না। মাতৃত্বের দায়বদ্ধতা নারীর কাছে ‘নাড়ির টানে’র মতো। সেকথা চিন্তা করেই নয়া পদক্ষেপ রেলের। এবার কর্মক্ষেত্রে সন্তানকে নিয়ে আসতে পারবেন রেলকর্মীরা। এজন্য লিলুয়া ওয়ার্কশপে আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে ক্রেশ (Creche)। রেলের ওয়ার্কশপে দেশের মধ্যে এই ব্যবস্থা প্রথম বলে দাবি করেছেন শপের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার সুমিত নারুলা।
সুমিত নারুলা বলেন, লিলুয়া (Liluah)ওয়ার্কশপে মোট কর্মী সংখ্যা ৬,৭০০ জন। যার মধ্যে মহিলা কর্মীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো। ফলে একেবারে নগন্য নয় সংখ্যাটা। মহিলা কর্মীদের অনেকেরই সন্তান ছোট। তাদের বাড়িতে দেখভালের কেউ নেই। তাদের কথা চিন্তা করে এই ক্রেশ তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা মহিলা রেলকর্মীদের কাছে রীতিমতো হাতে স্বর্গ পাওয়ার মতো। লিলুয়া ওয়ার্কশপের এয়ার ব্রেক বিভাগের পাশেই এই ক্রেশ তৈরি করা হয়েছে। যে বিভাগে অধিকাংশই মহিলা কর্মী। এদের বিশেষ সুবিধা দিতেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল। শপের অন্য বিভাগের মহিলারাও এই ক্রেশ ব্যবহার করতে পারবেন।
লিলুয়া ওয়ার্কশপের মহিলা কর্মী অস্মিতা দত্ত জানান, অনেক মহিলা রয়েছেন যারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কাজ করেন। সন্তান খুব ছোট। অন্য লোকের দায়িত্বে সন্তান রেখে কাজে এলে মনটা সেদিকে পড়ে থাকে। কর্মস্থলে সন্তান দিয়ে এসে সেখানে ক্রেশে রাখলে। মনযোগ দিয়ে কাজ করা যাবে। সন্তানও থাকবে নিরাপদে। এই উদ্যোগে খুশি কর্মী সংগঠনগুলিও। ক্রেশের পাশে মহিলা কর্মীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে চেঞ্জিংরুম। দেশের মধ্যে রেলের ওয়ার্কশপে এই প্রথম মহিলাদের পরিষেবার পরিবর্ধন হচ্ছে লিলুয়া ওয়ার্কশপে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্রেশের উদ্বোধন করবেন পূর্ব রেলের জোনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা।
পুরুষ কর্মীদের জন্যও এই প্রথম ওই শপে খোলা হচ্ছে ‘স্টাফ কর্নার’। যেখানে সাময়িক বিশ্রাম নিতে পারবেন কর্মীরা। যেখানে থাকবে কাফেটেরিয়া। বিশ্রামের পাশাপাশি চা, কফি খেতে পারেবন কর্মীরা। স্প্রিং শপের পাসেই এই কর্নার আজ খুলে যাবে কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য। আজ জিএম ওয়ার্কশপের তিনটি নতুন শেড, নতুন সাইকেল স্ট্যান্ড, লিলুয়া হাসপাতালে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ড ও মহিলাদের জন্য নতুন বাতানুকূল ওয়ার্ডের উদ্বোধন করবেন।