মাত্র তিন মাসের মধ্যেই চিনের (China) ৬০ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিখ্যাত মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইল-ডিং। তাঁর মতে, এই তিন মাসে চিনের লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হবে। ইতিমধ্যেই কোভিড (Covid) হাসপাতালগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। এই অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা করেছেন। প্রসঙ্গত, কোভিড রুখতে বরাবরই কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে চিন। কিন্তু দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় চিন সরকার।
তারপর থেকেই এক লাফে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে চিনে। মার্কিন সংবাদপত্রের সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের দাহ করার জন্য নির্দিষ্ট শ্মশানগুলি একেবারে ভরতি হয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে কী পদক্ষেপ করছে চিন সরকার? বিস্তারিত না জানা গেলেও খানিকটা আভাস দিয়েছেন ফেইল। তাঁর মতে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছে না কমিউনিস্ট পার্টি। তারা চাইছে, প্রাথমিক পর্যায়ে লাগামছাড়া ভাবেই আক্রান্ত হোক সাধারণ মানুষ। তাই সংক্রমণে রাশ টানতে সেরকম কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার।
সেই কারণে চিনে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শ্মশানগুলিতে একদিনে কম করে ২০০ জনের মৃতদেহ দাহ করতে হচ্ছে। সাধারণভাবে এই সংখ্যাটা থাকে চল্লিশের আশেপাশে। ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করতে হচ্ছে শ্মশানের কর্মীদের। কোভিড আক্রান্তদের সৎকার করতে গিয়ে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরাও। তবে চিনের তরফে সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বর্তমানে চিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৪ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু চিন সরকারের তরফে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাও করেনি প্রশাসন। সব মিলিয়ে , কোভিডের মোকাবিলা করতে ডাহা ফেল চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। অদূর ভবিষ্যতে কোভিডের ফলে আরও ভোগান্তিতে পড়বেন চিনের নাগরিকরা, এমনটাই আশঙ্কা করছেন ফেইলের মতো বিশেষজ্ঞরা।