ইনিংসে পড়ল ৬ ক্যাচ! হাফ ডজন ক্যাচ ফস্কানো অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংই এখন বড় বিস্ময়

এক সময় বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল বলা হত অস্ট্রেলিয়াকে। ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরেই হোক, বা বাউন্ডারিতে, অস্ট্রেলিার ফিল্ডারেরা দাপট দেখাতেন। বাকি সব দল তাঁদের দেখে নিজেদের ফিল্ডিং উন্নত করার চেষ্টা করত। সেই দলের হলটা কী? বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৬টি ক্যাচ ছাড়লেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডারেরা। দলের ফিল্ডিং চিন্তা বাড়াচ্ছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

ম্যাচের দশম ওভারে ক্যাচ পড়ার শুরু। প্যাট কামিন্সের বল তেম্বা বাভুমার ব্যাটে লেগে উপরে ওঠে। ফাইন লেগে ছিলেন অ্যাডাম জ়াম্পা। তাঁর কাছে অনেক সময় ছিল বলের কাছে পৌঁছনোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি। বল তাঁর হাতের পাশে পড়ে।

১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে আবার বাভুমার ক্যাচ পড়ে। এ বার জ়াম্পার বলে তাঁর ক্যাচ ছাড়েন উইকেটরক্ষক জশ ইলিংশ। ৩ ওভার পরে তৃতীয় বারের জন্য বাঁচেন বাভুমা। এ বার মার্কাস স্টোইনিসের বলে তাঁর শট মিড উইকেট অঞ্চলে যায়। শন অ্যাবট ক্যাচ ধরেন। কিন্তু নিজের শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ফলে বল ছুড়ে দেন কাছেই দাঁড়ানো মিচেল স্টার্কের দিকে। কিন্তু স্টার্কের থেকে বল দূরে পড়ায় ধরতে পারেননি তিনি।

৩০তম ওভারে আইডেন মার্করামের ক্যাচ পড়ে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ছাড়েন কামিন্স। বল তাঁর হাতের কাছেই ছিল। দু’হাত নিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ধরতে পারেননি তিনি। বল তাঁর হাতের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়।

শেষ দিকে ৪৯তম ওভারে জোড়া ক্যাচ পড়ে। প্রথমে কামিন্সের বলে ডেভিড মিলারের শট ধরতে গিয়ে ফস্কান স্টার্ক। দু’বল পরে মার্কো জানসেনের সহজ ক্যাচ ফস্কান স্টোইনিস।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে বাভুমার ক্যাচ তিন বার এবং মার্করাম, জানসেন ও মিলারের ক্যাচ এক বার করে পড়ে। বাভিমা ৩৫ রান করেন। মার্করাম করেন ৫৬ রান। মিলার ১৭ ও জানসেন ২৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডারের যদি ক্যাচ ধরতে পারতেন তা হলে হয়তো আরও কিছুটা কম রান হত দক্ষিণ আফ্রিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.