বাংলা থেকে ত্রিপুরা গিয়ে আবার বাংলায় ফিরেছেন তাঁরা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমান সাহা। সুদীপের প্রত্যাবর্তন ভাল হলেও হতাশ করলেন ঋদ্ধি। রঞ্জি ট্রফির চলতি মরসুমের প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান করল বাংলা। শতরান করলেন সুদীপ। ৯০ রান এল সুদীপ ঘরামির ব্যাট থেকে। ঋদ্ধিমান শূন্য রানে ফিরলেন। দুই সুদীপের লড়াইয়ে দিনের শুরুটা ভাল করলেও শেষ দিকে খেই হারাল বাংলা। ৫১ রানে পড়ল ৬ উইকেট। ফলে দিনের শেষে খেলায় ফিরল উত্তরপ্রদেশ।
দলীপ ট্রফিতে শতরান করা অভিমন্যু ঈশ্বরণ রঞ্জির প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান যশ দয়ালের বলে আউট হলেন তিনি। প্রথম উইকেট পড়ার পরে জুটি বাঁধেন দুই সুদীপ। চট্টোপাধ্যায় ও ঘরামি মিলে দলকে বড় রানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দিনের প্রথম দুই সেশনে আর উইকেট তুলতে পারেননি উত্তরপ্রদেশের বোলারেরা। শতরান করেন সুদীপ। তিনি দেখিয়ে দিলেন আবার তাঁকে বাংলা দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেননি লক্ষ্মীরতন শুক্লরা।
চা বিরতির পরে খেই হারাল বাংলার ব্যাটিং। ৯০ রানের মাথায় ঘরামিকে আউট করেন বিপ্রজ নিগম। সেই শুরু। নিদমের লেগস্পিনের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন বাংলার ব্যাটারেরা। ২১২ রানে ১ উইকেট থেকে ২৬৩ রানে ৭ উইকেট পড়ে গেল।
বাংলার মিডল অর্ডার রান পায়নি। অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার (১), অভিষেক পোড়েল (২), ঋদ্ধিমান (০), ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়েরা (১২) ব্যর্থ। সৌরভ কুমারের বলে ১১৬ রান করে আউট হলেন সুদীপও। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল এক সেশনেই না বাংলা অল আউট হয়ে যায়। সেখান থেকে দলকে সামলান শাহবাজ় আহমেদ। দিনের শেষে ২৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নিগম। ৫৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন যশ ও সৌরভ। রান আউট হয়েছেন বাংলার অভিষেক।