অনিরুদ্ধে থাপা লাল কার্ড দেখার পরে মনে হয়েছিল ম্যাচ জিতে যাবে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ফাইনালে এক জন অতিরিক্ত ফুটবলার থাকা মানে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া। তার পরেও হারত হল ইস্টবেঙ্গলকে। দিমিত্রি পেত্রাতোসের করা একমাত্র গোলে জিতল মোহনবাগান। কেন সুবিধা পেয়েও জিততে পারল না ইস্টবেঙ্গল। তাদের হারের নেপথ্যে পাঁচ কারণ কী কী?
১) সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। গোল করার কম সুযোগ পায়নি তারা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। গোল করতে না পারার খেসারত দিতে হল দলকে।
২) জেভিয়ার সিভেরিয়োর উপর ভরসা দেখিয়ে তাঁকে আক্রমণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। কিন্তু যত ক্ষণ মাঠে ছিলেন নজর কাড়তে পারেননি তিনি। কয়েকটি ক্ষেত্রে ফাউল জেতা ছাড়া দেখা যায়নি সিভেরিয়োকে।
৩) দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলের ক্ষেত্রে ভুল ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারদের। তিনি মাঝমাঠে বল ধরে প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে যান। লাল-হলুদের কোনও ডিফেন্ডার তাঁকে আটকানোর চেষ্টাই করেননি। আরও আগে চ্যালেঞ্জ করলে হয়তো গোল করতে পারতেন না পেত্রাতোস।
৪) ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের সামনে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন বাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। অন্তত তিন বার অবধারিত গোল বাঁচান তিনি। আগের ম্যাচে গোল খেলেও এ বার তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
৫) মোহনবাগান ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরে কিছুটা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা। ফলে কিছুটা গা-ছাড়া ভাব দেখা যায় দলের ফুটবলারদের মধ্যে। সেই সময়ই গোল করেন পেত্রাতোস।