এনজিওর আড়ালে জঙ্গিদের অর্থসাহায্য, কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় বড় চক্র ফাঁস, গ্রেফতার ৫

জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের অর্থ সহযোগিতা করার একটি বড় চক্র ফাঁস করল পুলিশ। শুধু অর্থসাহায্যই নয়, জঙ্গিদলে নিয়োগও করা হচ্ছিল বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরে কোনও বড় হামলার চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র, বোমা এবং গ্রেনেড বানানোর সরঞ্জাম, আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে।”

অনেক দিন ধরেই পুলিশ খবর পাচ্ছিল কুপওয়াড়ায় জঙ্গিদলে নিয়োগ চলছে। বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন এলাকায় সক্রিয় হয়েছে। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার আচমকা অভিযান চালায় পুলিশ এবং সেনার যৌথবাহিনী। কুপওয়াড়ার চিরকোট থেকে প্রথমে বিলাল আহমেদ দার নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে তারা। বিলালকে জেরা করে পুলিশ আরও চার জনের খোঁজ পায়। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়।

জেরায় ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছে, ‘ইসলাহি ফলাহি রিলিফ ট্রাস্ট’ নামে একটি অসরকারি সংস্থার আড়ালে জঙ্গিদের অর্থসাহায্যের কাজ করা হচ্ছিল। বেছে বেছে গরিব এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিকে অর্থসাহায্য করে জঙ্গিদলে যোগ দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা হচ্ছিল। কুপওয়াড়া পুলিশের এসএসপি বলেন, “গোটা নেটওয়ার্ক তদারকি করতেন বিলাল। বিভিন্ন গ্রামে গোপনে সভা করতেন তিনি। টাকার লোভ দেখিয়ে গরিব পরিবারগুলিকে জঙ্গিদলে নিয়ে আসার কাজ করতেন। বিলালের কাছ থেকে আরও বেশ কয়েক জনের নাম জানা গিয়েছে।”

পুলিশ সুপারের দাবি, সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে সমস্ত রকম নির্দেশ আসত কুপওয়ারার গুলাম রসুল শাহ এবং মহম্মদ সুলতান পীরের কাছে। তাঁদের কাছ থেকে নির্দেশ যেত বিলালের কাছে। সেই নির্দেশ মতোই জঙ্গিদলে অর্থসাহায্য, জঙ্গি নিয়োগের কাজ চলত। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মূল হোতা ওয়াহিদ আহমেদ ভাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.