বিশ্বকাপ ফাইনালের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে আবার স্বমেজাজে ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে দিল তারা। বিশ্বকাপ না পাওয়ার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়ল। তার থেকেও বড় ব্যাপার, পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও কিছুটা সেরে রাখা গেল। এই সিরিজ়ের ৫ প্রাপ্তির কথা তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ওপেনিং। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আইপিএলে খেলে তিনি পোক্ত হয়ে গিয়েছেন। প্রথম এবং শেষ ম্যাচ বাদ দিলে ভারতকে ভরসা দিতে পারে রুতুরাজের ওপেনিং। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট করছেন। পাওয়ার প্লে পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান রয়েছে। তবে আরও কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।
২) রিঙ্কু সিংহের ব্যাটিং। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে পিছু ফিরে তাকাচ্ছেন না রিঙ্কু। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে সাফল্য। রবিবারের ম্যাচ বাদ দিলে রিঙ্কুর ব্যাট সব ম্যাচেই ভরসা দিয়েছে। রান তাড়া করার সময়েই হোক বা ধরে খেলা, সব পরিস্থিতিতেই সাবলীল রিঙ্কু। বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারে এ রকমই একজন ব্যাটারকে দরকার ভারতের।
৩) ভারতীয় স্পিনারদের বোলিং। রবি বিষ্ণোই ক্রমশ নিজেকে এই ফরম্যাটের জন্য তৈরি করে ফেলছেন। চলতি সিরিজ়ে ৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞ অক্ষর পটেল তো রয়েছেনই। তা ছাড়া, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রবীন্দ্র জাডেজা থাকলে স্পিন বিভাগ শক্তিশালী হয়ে যাবে ভারতের।
৪) বিকল্প হিসাবে মুকেশ কুমারের তৈরি হওয়া। টেস্ট বা এক দিনের দলে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ হয়েছেন। কিন্তু এঁদের বিশ্রাম দেওয়া হলে বিকল্প হিসেবে নিজেকে তুলে আনছেন বাংলার মুকেশ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিচ্ছেন। জুটি ভাঙছেন। রানও কম দিচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটে তাঁর নির্বাচিত হওয়া দেখে বোঝা গিয়েছে নির্বাচকেরাও আস্থা রাখছেন মুকেশের উপরে।
৫) সূর্যকুমার যাদবের অধিনায়কত্ব। প্রথম বার জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে দলকে ৪-১ জেতালেন সূর্যকুমার। বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্সের ভূত কিছুটা হলেও তাঁর ঘাড় থেকে নামল। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে তিনিই অধিনায়ক। ওখানেই সূর্যের আসল পরীক্ষা। সফল হলে যে নেতৃত্বের পাকাপাকি সুযোগ ভবিষ্যতে আসবে না, এমনটা বলা যায় না।