কোচবিহারের দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হলেন বিজেপির ৪ জন কার্যকর্তা। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে শ্লীলতাহানির হুমকি দেওয়ার পর এবার তাঁর স্বামীকে বাইক থেকে ফেলে দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারধর করা হল। অন্য একটি ঘটনায় শান্তিপুরে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বাড়ির সামনে সাদা থান কাপড়, গীতা, মিষ্টি এবং ধূপকাঠি রেখে গেল দুষ্কৃতিরা। তিনটি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ফের অশান্ত দিনহাটা, গুলিবিদ্ধ হলেন বিজেপির ৪ নেতা এবং মাথা ফাটল একজনের। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বামনহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি এলাকার ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতিদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিজেপি কার্যকর্তা মিলন বর্মন , চন্দ্র বর্মন, অর্জুন বর্মন এবং হিরো বর্মন। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বোমা, গুলি নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে দফায় দফায় হামলা চালায়। হামলায় পাকড়াও এক দুষ্কৃতি। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ছবি: রামনগরে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর স্বামী।
অন্যদিকে, গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বিধানসভার অন্তর্গত পালদুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৫ ডোমপুর জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী গুরুবারী জানাকে শ্লীলতাহানির হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আজ তাঁর স্বামীকে মারধর করা হল। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের এএসআই অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীর সামনেই তৃণমূল নেতা অনুপ মাইতি, বনবিহারী মাইতি সহ অনেকে বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে বাইক থেকে ফেলে শ্বাস রোধ করে প্রচণ্ডভাবে মারধর করে। প্রার্থীর স্বামী ইলেকশন এজেন্ট হওয়ার কারণে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে তাঁকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সামনেই দম্পতির ওপর প্রবল অত্যাচার চলছে এবং বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও বাড়ি ঘিরে রেখেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ছবি: বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে সাদাথান, গীতা।
অন্য একটি ঘটনায় নদিয়ার ফুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে সাদা থান কাপড়, গীতা, মিষ্টি, ধূপকাঠি পাঠানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে তৃণমূল থানকাপড়, গীতা, মিষ্টি এবং ধূপকাঠি রেখে গেছে বলে দলের পক্ষ থেকে অভাব করা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে আতঙ্কিত করতেই শাসকদল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এইসব পঠিয়ে শাসকদল বোঝাতে চাইছে যে প্রার্থী খুন হয়ে যেতে পারেন। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপির দাবি। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।