মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিল খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছে সংসদীয় প্যানেলে। তবে শিক্ষা, মহিলা, শিশু, যুব ও ক্রীড়া সংক্রান্ত সেই সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে একমাত্র একজন মহিলা সদস্য রয়েছেন। এই আবহে এই কমিটিতে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যসভার দুই মহিলা সাংসদ। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব। এহেন সুস্মিমা কমিটির চেয়ারপার্সনকে চিঠি লিখে কমিটিতে মহিলা প্রতিনিধইত্ব বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইড়ুকে এই একই দাবি জানিয়ে চিঠই লিখেছেন।
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা কমিটিতে রয়েছেন ৩১ জন সদস্য। বিজেপি সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধে এই কমিটির প্রধান। সেই সহস্রবুদ্ধেকেই চিঠি লিখে সুস্মিতা বলেন, ‘আমি প্রস্তাব করতে চাই যে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় কক্ষের যে কোনও মহিলা সদস্যকে এই কমিটির সামনে লিখিতভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষ্য দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হোক।’ প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার ২৯ ও লোকসভার ৮১ জন মহিলা সদস্য আছেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে নিয়ম অনুযায়ীস রাজ্যসভার চেয়ারম্যান চাইলে আরও মহিলা সাংসদকে এই প্যানেলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাতে পারেন৷ এই আবহে শিনসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুরবেদী বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি লিখে বলেন, ‘আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে বিলটি নিয়ে আলোচনা করতে আরও বেশি করে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিলটি এমন সমস্যা সম্পর্কিত যার মুখোমুখি হতে হয় ভারতের মহিলাদের।’
উল্লেখ্য, দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়৷ এরপরই সংসদের এবারের শীতকালীন অধিবেশনে বাল্যবিবাহ (সংশোধনী) বিল পেশ করা হয়৷ আলোচনার জন্য এই বিলটি বর্তমানে পাঠানো হয়েছে শিক্ষা, মহিলা, শিশু, যুব ও ক্রীড়া সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে৷ তবে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে মহিলা সদস্যের সংখ্যা মাত্র এক হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।