শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সব বিতর্ক মিটিয়ে ফেলতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অবৈধভাবে নিয়োগের গোটা বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা বলে দাবি তার।
বৃহস্পতিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য মন্ত্রিসভার নোট তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, সেই নোটেই ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের উল্লেখ রয়েছে। সেই টাকা দিয়ে এসএসসি ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের যাতে নিয়োগ করা যায় সেই বিষয়টি স্থির করা হয়েছে। একইসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেছেন, অবৈধ নিয়োগকে ধামাচাপা দিয়ে আইনে পরিণত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন দল যে সবার চাকরির পক্ষে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে এক্ষেত্রে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির সাতটি মোর্চার নেতৃত্বকে নিয়ে একটি সাংগঠনিক সভা হয় বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র (EZCC) প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, গত ৫মে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই নোট তার কাছে রয়েছে। একটি কাগজ হাতে নিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভার নোট আমি দেখাচ্ছি। ২০২২ সালে ৫মে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী ২৬২ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়ে ছিলেন। যাতে অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া সকলের নিয়োগ বজায় রেখে ওয়েটিং এর সবাইকে চাকরি দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায়।
কিন্তু মন্ত্রিসভাএই সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালজগদীপ ধনখড় সেটা হতে দেননি বলে দাবি করেছেন শুভেন্দুর। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভার এই নোট আগে রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আটকে দিয়ে গিয়েছিলেন। এই নোট বলছে ৫৮ হাজার নিয়োগের ৫০ হাজার বিক্রি হয়েছে আর ৮ হাজার নেতামন্ত্রীদের ছেলে মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন পেয়েছেন।
এই বিষয়টি নিয়েই তিনি আদালতে মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।