বড় একটি ঘরের এক দিকে মঞ্চ। উল্টো দিকে তিন তলার দিকে দু’ভাগ হয়ে উঠে গিয়েছে সিঁড়ি। দু’দিকের সেই সিঁড়ি দিয়েই একের পর এক নেমে আসছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা। নেপথ্যে তারস্বরে বাজছিল ক্লাবের গান। সোমবার এ ভাবেই দলের ২৩ জন ফুটবলারকে প্রকাশ্যে আনল ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
জনসমক্ষে এই জিনিস হলে নিঃসন্দেহে হাততালির ঝড় উঠত। কিন্তু সোমবারের অনুষ্ঠান শুধু সাংবাদিকদের জন্য থাকায় তা হয়নি। তবে অতীতে কবে কোন দল এক মঞ্চে দলের এত জন ফুটবলারকে হাজির করেছে, তা মনে করা যাচ্ছে না।
প্রথমে নেমে এলেন গোলকিপারেরা। দু’দিক থেকে দেবজিৎ মজুমদার এবং প্রভসুখন গিল নামলেন। এর পর নামলেন ডিফেন্ডারেরা। তার পরে মিডফিল্ডার এবং ফরোয়ার্ডেরা। সেই তালিকায় মাদিহ তালাল, দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, লালচুংনুঙ্গা, ক্লেটন সিলভা, নন্দকুমার, শৌভিক চক্রবর্তীরা ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তা আদিত্য আগরওয়াল এবং বিভাস আগরওয়াল ছাড়াও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার এবং সচিব রূপক সাহা ছিলেন। শুধু ফুটবলারেরা নন, সব কোচেরাও হাজির ছিলেন।
ইমামির কর্তা আদিত্য জানালেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে একটা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা যুক্ত হয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছেন। এ বারের দল গঠন তারই প্রমাণ। আদিত্য বলেছেন, “২০২২ সালে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী হওয়ার সময়েই শপথ নিয়েছিলাম ক্লাবের গৌরবময় দিন ফিরিয়ে আনব। সুপার কাপ জয় আমাদের দায়বদ্ধতা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফসল। এএফসি প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। লম্বা মরসুমের কথা মাথায় রেখে যত বেশি সম্ভব খেলোয়াড় দলে নিয়েছি আমরা।”
দেবব্রত বলেন, “এ বছর ভাল দল করার চেষ্টা করেছি। তবে সাফল্য কোচ এবং ফুটবলারদের উপরে নির্ভর করছে। সাফল্যের জন্য অনেক কিছু মেলবন্ধন দরকার। তবে যাঁরা রয়েছেন সবাই খুব সাহায্য করেন একে অপরকে। আশা করি সব যে ভাবে চলছে তাতে অতীতের গৌরবময় ইস্টবেঙ্গলকে আবার দেখা যাবে।”
কুয়াদ্রাত বলেছেন, “আমরা অতীতে খারাপ মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি। এখন সমর্থকেরা আমাদের পাশে রয়েছেন। ক্লাব এবং ইমামি ভাল দল তৈরি করতে আমাকে সাহায্য করেছে। ইমামি আমার পছন্দের কোচেদের আনতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি ফুটবলারদের উপরে আস্থা রাখার জন্যে ক্লাবকে ধন্যবাদ।”
এর পরে গত মরসুমে অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার পারফরম্যান্সের একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়। সেটি শেষ হওয়ার পর উপস্থিত ফুটবলারেরা ক্লেটনের নামে জয়ধ্বনি দেন।