বাংলায় বন্যায় মৃত ২৩, জলের তলায় লাখ-লাখ হেক্টর কৃষিজমি

চলতি মরশুমে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ডিভিসি। সেই কারণে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা। অতিরিক্ত প্লাবনের কারণে বহু মানুষকে শুধু প্রাণই হারাতে হয়নি, কয়েক লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। আবার ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যে কমপক্ষে ২৩ জন মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দেওয়াল ভেঙে তার নীচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ৬ জন। জলে তলিয়ে গিয়েছেন ৭ জন। বাজ পড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন দু’জন। তাছাড়া কালিম্পংয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ইতিমধ্যেই ১,১৩,১৮১ জন মানুষকে বানভাসি এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। ৩৬১ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে যেখানে ৪৩,১৯২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলাবতী, কংসাবতী ও দামোদরের জল বেড়ে যাওয়ার ফলে হাওড়া-মেদিনীপুর ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলে ডুবে গিয়েছে। ওদিকে গত ১ অগস্ট তেনুঘাট জলাধার থেকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়। সেই জল মঙ্গলবার রাতে এরাজ্যে এসে পৌঁছেছে। যার ফলে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক জল এ রাজ্যের পাঞ্চেত, মাইথন ও দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুধবার পাঞ্চেত ও মাইথন এই দু’‌টি বাঁধ থেকে মোট ৪০ হাজার কিউসেক অতিরিক্ত জল ছাড়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.