ভোটে যুদ্ধ করতে ২০০ টাকা মজুরি এবং ২ প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে চলছে বোমা বাধার কাজ। ধৃতদের মুখে তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়কের নাম।
ভোটের জন্য যুদ্ধ হবে, বোমা তৈরি করতে হবে৷ ২০০০টাকা করে দেওয়ার কথা থকলেও ২০০ টাকা ও ২ প্যাকেট বিস্কুট মজুরি দিয়েই চলছে সেই বোমা বাঁধার কাজ। ২ দিনে ২০১টি বোমা বাঁধা হয়েছে। পিল্টু দা ওরফে উত্তম বারিকের (কাঁথি তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক) নাম করে ওই ব্যক্তিদের বোমা বাঁধার কাজ করতে বলা হয়েছে। যদিও পরে ধৃতরা বলছেন এটা বিজেপির কাজ চলছে।
উদ্ধার হয় প্রচুর বোমা। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নমানো হয় পুলিশ ও র্যালি। ২ জনকে আটক করেছে পটাশপুর থানার পুলিশ।
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বাসন্তীয়া গ্রামের ঘটনা।
মাত্র কয়েকদিন বাকি ভোটের। আর তার আগে এভাবে বোমা তৈরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ভোট ঘিরে ক্রমশ ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে। অপরদিকে এই ঘটনায় পটাশপুরের বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি উত্তম বারিক ওরফে মিল্টু দা’র নাম জড়িত থাকায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভোটের প্রস্তুতি ঠিক কোন দিকে তা একেবারেই স্পষ্ট আজকের বাসন্তিয়ার ঘটনায়।