কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি উদ্ধার! এরপরেও কি জোটে থাকবেন মমতা? প্রশ্ন সুকান্তর

 কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ শাহুর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বলা যেতে পারে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী হিসেবে দাবি করা অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রতিচ্ছবির দেখা মিলেছে ঝাড়খণ্ডের ওই কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে। আর এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এখনো ইন্ডিয়া জোটে থাকবেন? কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলবেন?

আজ এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে সুকান্ত জানান, মোদী বিরোধী যে জোট তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদের ইন্ডিয়া বলে দাবি করছেন, তাদের নেতা- নেত্রীরা হলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকা অর্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক নেতা নেত্রী। এরা সকলেই বাংলায় বিজেপির বিরোধিতা করে। বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি, আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ ডিসেম্বর আইটি রেড চলেছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি কংগ্রেসের একজন রাজ্যসভার সাংসদদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হচ্ছে। আলমারি ভর্তি থাকে থাকে সাজানো টাকা।

তিনি বলেন, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তার সম্পত্তি রাখা ছিল। সেখান থেকে ৪০ জন আইটি অফিসারের টিম রেড করেন এবং কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এইরকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কমই হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গিয়েছে এখনো পর্যন্ত, আরো টাকা উদ্ধার হবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মৈত্রী করেছেন?

সুকান্ত মজুমদার জানান, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তার সাথে জোটে থাকা কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটিকে ১ লাখ টাকার কম বলেমনে করছেন? তিনি আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার হয়তো সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত উনি চুরি করেননি। উনি সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বাঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে, যেটা প্রমাণও হয়নি সে কারণে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে চাই আজ এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ শাহু সম্পর্কে আপনার মত কী?

ইন্ডিয়া জোট সঙ্গী তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুড়েছেন, আপনাদের দল কি এই কংগ্রেস সাংসদের পাশে দাঁড়াবে? নাকি সম্বর্ধনা দেবে, বঙ্গরত্ন দেবে?

এরপরই সুকান্ত মজুমদার বলেন, তার তোলা এই প্রশ্নের জবাব দেবে মানুষ। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানে কি নিজের ঘরে টাকা নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তাহলে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূল সরকারকে চোর বলে প্রত্যাখ্যান করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.