কয়েক মাস ধরেই ঘরের বাইরের দরজায় তালা দেওয়া ছিল। আর সেই তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হল পচা-গলা দেহ। আর এই ঘটনা ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয়।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bongaon) থানার গোবরাপুর এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তেও পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেহটি ঘরের কাঠের পাটাতনের নিচে পলিথিন পেপারে মোড়ানো অবস্থায় ছিল। আনুমানিক অন্তত দিন কুড়ি আগে থেকেই দেহটি ওই ঘরে রয়েছে। বাকি সমস্ত কিছু জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, গোবরাপুর এলাকার ওই বাড়িটির মালিক কৃষ্ণ দাস। তিনি ভিনরাজ্যে কাজ করেন৷ বহুদিন আগেই বাড়ির দোতালার পাশাপাশি দুটি ঘরে অভিজিৎ ও প্রণব নামে দুই যুবককে ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে প্রণবের ঘরটি বাইরে থেকে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এক প্রতিবেশী মহিলা জানান, “প্রণব এলাকার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতোনা। সম্ভবত ও বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন ওর ঘর বন্ধ থাকায় আমরা শুনেছিলাম বাইরে কাজে গিয়েছে। তারপর থেকে তাকে আমরা আর দেখিনি।”
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণ দাসের ছেলে ঘরটি পরিষ্কার করবার জন্য দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে নাকে দুর্গন্ধ পান। স্থানীয়দের জানালে, তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে কাঠের বাক্সের মধ্যে কালো প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এরপরই সেটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃতদেহর পরিচয় জানতে, পুলিশ পাশের ভাড়াটিয়া অভিজিৎকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে।