৯ দিন আগে জানা গিয়েছিল, এশিয়া কাপের আয়োজনের বিষয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ, প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পাকিস্তান যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে তাতে রাজি নয় তারা। কিন্তু ৯ দিন পরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল দু’দেশ। তারা নাকি পাকিস্তানের প্রস্তাবে রাজি।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা চাইছে, পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেট্টির প্রস্তাব অনুযায়ী এশিয়া কাপ খেলতে। এই বিষয়ে নাকি কয়েক দিনের মধ্যেই বৈঠক করতে পারেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহ। সেখানেই পাকিস্তানের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
এশিয়া কাপ খেলতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে না পাঠানোর সিদ্ধান্তে অনড় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ই এ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বিসিসিআই সচিব জয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পাল্টা চাপেও সুর নরম করেনি ভারত।
এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। শুধু ভারতের ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ কোনও দেশে আয়োজন করার কথা বলেছিল এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। সেই বিকল্প প্রস্তাবেও রাজি নয় বিসিসিআই। ভারত চায় পুরো প্রতিযোগিতাই পাকিস্তানের বদলে অন্য কোনও দেশে হোক। পরিস্থিতির চাপে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা ভাবছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছে তেমন প্রস্তাব দিতে পারে পিসিবি। কিন্তু প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসাবে পাকিস্তানকেই না চাইতে পারে ভারত। বিসিসিআই সচিবই এসিসি-র সভাপতি। সূত্রের খবর নরেন্দ্র মোদী সরকারও এশিয়া কাপ নিয়ে কড়া অবস্থান বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে।
পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম এক দিনের বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতকে পাল্টা চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় ক্রিকেট অনড় অবস্থান বজায় রাখলে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে বাবর আজমদের ভারতে না পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন পিসিবি কর্তারা। এমনকী এক দিনের বিশ্বকাপে শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণ করার কথাও ভাবনা রয়েছে তাঁদের। ঘনিষ্ঠ মহলে নাজাম বলেছেন, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এমন লিখিত আশ্বাস পেলেই একমাত্র বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে পাকিস্তান। পিসিবি কর্তাও পাকিস্তান সরকারের কড়া মনোভাবকে সামনে রাখছে।
ভারত সুর নরম না করলে পাক সরকার বাবরদের ভারতে এসে বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি নাও দিতে পারে। নাজাম বলেছেন, ‘‘এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় দল পাকিস্তানে না এলে এক দিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বেশ কম। পাকিস্তান সরকার সীমান্তের ওপারে গিয়ে খেলার অনুমতি নাও দিতে পারে। আসলে ক্রিকেটই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’’ আইসিসি এবং এসিসির প্রতিযোগিতাগুলি সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান।