১৭১৭ কোটির নির্মাণ! বিহারের সেতু তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল এক বছর আগেও

গঙ্গার উপর ২০৬ মিটার লম্বা সেতু। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না, ভিতরে ভিতরে চিড় ধরেছে। রবিবার সন্ধ্যায় নির্মীয়মাণ সেই সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে গঙ্গায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই, তবে সেতু ভেঙে পড়ার ভিডিয়োটি নিয়ে চর্চা চলছে।

ভাগলপুরের আগুওয়ানি-সুলতানগঞ্জ গঙ্গা সেতুটিতে বিপর্যয় এই প্রথম নয়। এর আগেও এক বার সেতুটি ভেঙে পড়েছিল গঙ্গার উপর। মাত্র এক বছর আগের সেই স্মৃতি আবার ফিরে এসেছে রবিবার।

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এই আগুওয়ানি-সুলতানগঞ্জ গঙ্গা সেতুই ভেঙে পড়েছিল। দিনটা ছিল ৩০ এপ্রিল। গঙ্গার উপর ভেঙে পড়ে সেতুর একটি অংশ। রবিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। তবে এ বার বিপর্যয়ের অভিঘাত ছিল তুলনামূলক বেশি।

সেতু ভেঙে পড়ার যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে দুই ধাপে সেতুটি ভেঙেছে। সেতুর একেবারে মাঝখান থেকে ডান দিকে অংশ আগে জলে মিশে যায়। তার পর বাঁ দিকের স্তম্ভগুলিও আর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেনি। গোটা সেতুটিই মিশে গিয়েছে গঙ্গায়। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সেতুর নির্মাণের জন্য ১৭১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। নির্মাণকাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। চলতি বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। রবিবার ছুটির দিনে নির্মাণের কাজ বন্ধ ছিল বলে ওই সময় সেতুতে কোনও কর্মী ছিলেন না। তাই প্রাণহানি বা আহতের কোনও খবর নেই। যদি কাজের দিনে এই অঘটন ঘটত, তবে হতাহতের সম্ভাবনাও থাকত।

এই দুর্ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিতকুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘এটা বড়সড় গাফিলতির ফল। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।’’ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই ঘটনায় যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন গঙ্গার উপর সেতুটি ভেঙে পড়ল, কারা এর জন্য দায়ী, অনুসন্ধান করতে বলেছেন নীতীশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.