উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে ৩৫ রানে লিড নিল বাংলা। মনোজ তিওয়ারির দল ৬০ রানে শেষ করে দিয়েছিল বিপক্ষকে। ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে বাংলা তুলল ৯৫ রান। হারাল ৫ উইকেট। রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে কানপুরে এক দিনেই গেল ১৫ উইকেট।
কুয়াশার কারণে শুক্রবার কানপুরে সঠিক সময়ে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। টস হয় ১১.৪৫ মিনিটে। অর্থাৎ প্রথম সেশনে খেলাই হয়নি। টস জিতে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির বল করার সিদ্ধান্ত নেন। গ্রিন পার্কের গ্রিন টপে অন্য কিছু করা সম্ভব ছিল না।
বাংলার পেসারেরা শুরু থেকেই দাপটে দেখাতে শুরু করেন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং ঈশান পোড়েল নতুন বলে পর পর উইকেট তুলে নেন। সেই সঙ্গে যোগ দেন মহম্মদ কইফ। তাঁরা তিন জনে মিলে ২০.৫ ওভার করে ৬০ রানে অলআউট করে দেন উত্তরপ্রদেশকে।
বাংলার পেসারদের মধ্যে সব থেকে উইকেট নিয়েছেন কইফ। তিনি ৫.৫ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। ৩ উইকেট নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সূরজ। তিনি ৮ ওভারে ২০ রান দেন। একটি রান আউটও করেন। ২ উইকেট নেন ঈশান। তিনি ৭ ওভারে দেন ২৪ রান।
উত্তরপ্রদেশের তিন জন ব্যাটার বাদ দিয়ে কেউই দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। এই ম্যাচে নীতীশ রানা দলে ফেরেন। তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন উত্তরপ্রদেশকে। কিন্তু ১১ রানের বেশি করতে পারেননি গত বছর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দেওয়া নীতীশ।
নীতীশদের তোলা ৬০ রান টপকাতে বাংলা নেয় ২১ ওভার। বাংলার ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার শ্রেয়াংশ ঘোষ শুরু থেকেই ক্রিজে ধরে খেলার চেষ্টা করেন। তবে উল্টো দিক থেকে একের পর এক উইকেট হারায় বাংলা। ৩ উইকেট হারিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে লিড নিয়ে নেওয়ার পথে বাংলা হারায় সৌরভ পাল (১৩), সুদীপ ঘরামি (০) এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের (১২) উইকেট।
দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছে গিয়েছেন ওপেনার শ্রেয়াংস (অপরাজিত ৩৭)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন করণ লাল (অপরাজিত ৮)। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (৩) এবং অভিষেক পোড়েল (১২) খুব বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।
উত্তরপ্রদেশের হয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৬ বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে দাপট দেখাচ্ছেন অভিজ্ঞ পেসার। তিনিই একের পর এক উইকেট নিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার সকালেও তিনি দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বাংলা চাইবে আরও বেশি রানে লিড নিয়ে ইনিংস শেষ করতে।