মাধ্যমিকের সম্ভাব্য রাজ্য মেধা তালিকায় সেরা দশে স্হান অধিকার করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে বাঁকুড়ার ১৩ জন পরীক্ষার্থী। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান হাত ছাড়া হওয়ার হতাশা ভুলে ১৩ জন কৃতির কৃতিত্বে খুশি বাঁকুড়া।
সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মানেই প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার ছাত্র ছাত্রীরা থাকবেই এরকম একটা ধারা তৈরী হয়। গত কয়েক দশক ধরেই এই ধারা অব্যাহত ছিল, এবার ব্যাতিক্রম হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা অখুশি হলেও জেলার মাধ্যমিকের কৃতীরা ততটা হতাশ করেনি বলেই মত বিশিষ্ট মহলের।
এবার বাঁকুড়া জেলা স্কুল সেভাবে দাগ কাটতে না পারলেও বাঁকুড়া পুয়াবাগান বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের ৬ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে বিদ্যালয়ের মান ধরে রেখেছে। এরপরই বাঁকুড়া মিশন গার্লস স্কুলের ৩ ছাত্রী রাজ্য মেধা তালিকায় স্থান অধিকার করেছে। এই স্কুলের অন্বেষা চক্রবর্তী ৬৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম ও জেলায় প্রথম স্থান পেয়েছে। আবৃত্তি, নাটক ও গানে দক্ষ অন্বেষা ডাক্তার হতে চায়। তার সঙ্গে বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের ঈষান পাল রাজ্য মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান পেয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। ৬৮৭ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে ঈশানের দুই সহপাঠী সূর্য্যেন্দু মন্ডল ও অপূর্ব সামন্ত। এই ৩ কৃতীই ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
৬৮৬ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান পেয়েছে জেলার তিন পড়ুয়া। বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের স্নেহা কর ও বাঁকুড়া মিশন গার্লসের প্রাপ্তি ঘোষাল চিকিৎসক হতে চায় এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর জেলা স্কুলের পড়ুয়া শুভদীপ সরকার। ৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে মিশন গার্লসের সোনাই মুখার্জি ও কেন্দুয়াডিহি বয়েজ হাইস্কুলের অর্চিষ্মান চক্রবর্তী। দুজনেরই ইচ্ছে চিকিৎসক হওয়ার।
বাঁকুড়া খ্রীষ্টান কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৃতিসুন্দর দে ও ছাতনা বাসুলি বালিকা বাণী বিদ্যাপীঠের ছাত্রী শ্রেয়া চক্রবর্তী ৬৮৪ নম্বর পেয়ে নবম স্থান দখল করেছে। এই দুজনও চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়।
বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের দেবজিৎ রায় ও অঙ্কনা দুবে ৬৮৩ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য রাজ্য মেধা তালিকায় দশম স্থান পেয়েছে। অঙ্কনা আইআইটি পড়তে চায় বলে ইতিমধ্যেই কোটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে গেছে।