গাজ়ায় ইজ়রায়েলি বিমানহানায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন ইজ়রায়েলি পণবন্দি। শুক্রবার সশস্ত্র প্যালেস্তেনীয় সংগঠন হামাসের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গাজ়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে হামাসের এই বিবৃতি ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপর চাপ বৃদ্ধি করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনায় নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা-ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, হামাস বাহিনীর হাতে অপহৃতদের মুক্তির দাবিতে তৈরি হচ্ছে জনমত। ফলে ইজ়রায়েল বায়ুসেনার হামলায় সে দেশেরই পণবন্দিদের মৃত্যুর খবর অস্বস্তি বৃদ্ধি করতে পারে নেতানিয়াহু সরকারের।
শনিবার রকেট হানা এবং প্যারাগ্লাইডারে চড়ে ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে হামলার পাশাপাশি, স্থলপথেও অনুপ্রবেশ করেছিল হামাস বাহিনী। গাজ়া সীমান্তে ইজ়রায়েলের তৈরি ইস্পাতের ‘দি গ্রেট স্মার্ট ফেন্স’ ভেঙে ঢুকে পড়ে দেড়শো জনেরও বেশি ইজরায়েলিকে বন্দি করেন হামাস যোদ্ধারা। তাঁদের এখন গাজ়ার ভূগর্ভস্থ কোনও সুড়ঙ্গে আটকে রাখা হয়েছে বলে মনে করছে ইজ়রায়েল সেনা। আর তাঁদের মুক্ত করতে স্থলপথে গাজ়া ভূখণ্ডে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে ইজ়রায়েলের সংবাদমাধ্যমের দাবি।
সীমান্তবর্তী এলাকাতে ইতিমধ্যে নিয়মিত এবং সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়নগুলি মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ ইজ়রায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার ইজ়রায়েল সেনার এক্স হ্যান্ডলে দাবি করা হয়েছে, তাদের ‘শায়িটেট ১৩’ ইউনিট গাজ়ায় হামাস বাহিনীর বাঙ্কারে ঢুকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ২৫০ জন অপহৃতকে উদ্ধার করেছে। শুধু তাই-ই নয়, হামাসের ৬০ সদস্যকে খতমের দাবি করা হয়েছে সেনার তরফে। যদিও গোড়া থেকে তেল আভিভ দাবি করছিল, পণবন্দির সংখ্যা দেড়শোর কিছু বেশি!