যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তা-ই হল। আইএসএল দ্রুত শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন ১২ জন অধিনায়ক। তার মধ্যে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কও রয়েছেন। সকলের দাবি, ভারতীয় ফুটবলের অচলাবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপ করুক শীর্ষ আদালত। প্রত্যেকের জীবনই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
টেন্ডার-জট কাটাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ফেডারেশন। তার আগেই ফুটবলারেরা গেলেন শীর্ষ আদালতে। যদিও এই পরামর্শ ফেডারেশনের তরফেই দেওয়া হয়েছিল। আইনি লড়াইয়ে জড়াবেন না বলে প্রথমে ফুটবলারেরা এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন। পরে তাঁরা রাজি হন।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট বাণিজ্যিক কাঠামো, ফুটবলারদের জীবিকা নিশ্চিত করা এবং লিগ সঠিক ভাবে চালানোর জন্য দ্রুত সমাধানের আর্জি জানানো হয়েছে। সই করেছেন মোহনবাগানের শুভাশিস বসু, গোয়ার সন্দেশ জিঙ্ঘন, বেঙ্গালুরুর সুনীল ছেত্রী, নর্থইস্টের মাইকেল জাবাকো, জামশেদপুরের প্রণয় হালদার, মুম্বইয়ের লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, ওড়িশার কার্লোস দেলগাদো, কেরলের আদ্রিয়ান লুনা, ইস্টবেঙ্গলের সাউল ক্রেসপো, পঞ্জাবের নিখিল প্রভু, চেন্নাইয়িনের মন্দার রাও দেসাই এবং দিল্লির অ্যালেক্স সাজি।
জাতীয় দলের এক ফুটবলার বলেছেন, “লিগ না হলে আমাদের চুক্তি নিলম্বিত করা হবে। চুক্তি নিয়ে সে দিকেই এগোচ্ছে ক্লাবগুলো। আমরা খেলতে তৈরি। সকলের পেশাদার চুক্তি রয়েছে। কিন্তু লিগই শুরু হচ্ছে না। অনেকে তো অনুশীলনও করছে না।”
১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত লিগ আয়োজন করার জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর ক্লাবগুলির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছে ফেডারেশন। কড়া অবস্থান নিয়েছে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রোও। এক বিবৃতিতে তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করেছে। ফেডারেশনকে তোপ দেগে জানিয়েছে, তাদের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।

