পরের বছর পাকিস্তানে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিশ্বের সেরা আটটি দল খেলবে সেই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়। আয়োজনের জন্য বড় অর্থের কথা ঘোষণা করল আইসিসি। যদিও ভারত সেই প্রতিযোগিতায় খেলতে পাকিস্তানে যাবে কি না তা এখনও জানা যায়নি।
যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে পাকিস্তানের ক্রিকেটের অনেকটাই উন্নতি হবে। এক সূত্রের দাবি, ১২৮০ কোটি টাকা পাক বোর্ডকে দিয়েছে আইসিসি। পাক বোর্ডের মুখ্য অর্থ আধিকারিক জাভেদ মুরতাজা এবং আইসিসি-র মুখ্য অর্থ আধিকারিক অঙ্কুর খান্না মিলিত ভাবে এই অর্থের পরিমাণ ঠিক করেছেন। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি— যে তিনটি মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে তার পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে।
শোনা যাচ্ছে, গত বছরের মতো এশিয়া কাপ ‘হাইব্রিড মডেল’-এ হতে পারে। অর্থাৎ ভারতের ম্যাচগুলি হতে পারে অন্য কোনও দেশে। যদিও সেই সিদ্ধান্তের পক্ষে নয় পাক বোর্ড। তারা চায়, ভারত সেই দেশে গিয়েই খেলুক।
সমস্যা সমাধানের সূত্র বার হতে পারে দু’দেশের ক্রিকেট কর্তাদের মুখোমুখি আলোচনায়। সম্প্রতি সেই সুযোগ তৈরি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে। আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন দু’দেশের কর্তারা। আইসিসির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কী ভাবে হবে, তা আলোচ্যসূচিতে ছিল না। তাই এ ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি।’’
সম্মেলনের বাইরে ভারত-পাকিস্তানের কর্তারাও কি নিজেদের মধ্যে কথা বলেননি? বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হিসাবে চার দিন কলম্বোয় থাকা কর্তা বলেছেন, ‘‘কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে যাইনি আমরা। তাই দু’বোর্ডের কর্তাদের আলাদা ভাবে কথা বলার সূচি ছিল না। পিসিবি কর্তাদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সম্মেলনের বাইরে কথা বলার তেমন সুযোগও ছিল না। এখনও অনেক সময় আছে প্রতিযোগিতার আগে। তা ছাড়া এটা আইসিসির প্রতিযোগিতা। আইসিসি কর্তারা সামলাবেন। সরাসরি পিসিবি কর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা বলার কিছু নেই।’’