আবার পিটবুলের কামড়ে রক্তাক্ত হল এক নাবালক। এ বার ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ। পোষ্য পিটবুল কুকুরটি সোজা নাবালকের মুখে আক্রমণ করে। পিটবুলের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় নাবালকের মুখ ও কান। সূত্রের খবর, নাবালকের মুখে মোট ১৫০টি সেলাই পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের একটি আবাসন সংলগ্ন পার্কে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার, পার্কে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল নাবালক। আর পার্কেই পোষ্য পিটবুলকে নিয়ে হাঁটছিল একটি বাচ্চা মেয়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আচমকাই পিটবুলটি বাচ্চাটির হাত ছাড়িয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিতে এগিয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাতের বাঁধন ছেড়ে দেয় বাচ্চাটি। ছাড়া পেয়েই পিটবুলটি সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ে নাবালকের উপর। মুহূর্তে নাবালককে শুইয়ে ফেলে মুখে ও কানে কামড় বসাতে থাকে। অন্যেরা এসে পিটবুলটিকে কোনও রকমে সরিয়ে নিয়ে যান। নাবালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার পরেই শিশুদের দিয়ে কুকুর ঘোরাতে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কুকুরটির মালিকের নাম সুভাষ ত্যাগী। কিন্তু কুকুরটির কোনও রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স তাঁর নেই। তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগেও এ রকম একাধিক ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি, লখনউয়ে নিজের বাড়ির পোষ্যের কামড়েই মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ার। দিল্লিতেও পিটবুলের হামলার খবর পাওয়া গিয়েছিল। স্বভাবগত ভাবে পিটবুল আগ্রাসী প্রজাতির হলেও কোনও প্ররোচনা ছাড়া পিটবুল অন্যকে আক্রমণ করে না বলেই মনে করা হয়। তাহলে গাজিয়াবাদের ঘটনা কী ভাবে ঘটল, উত্তর খোঁজা অব্যাহত।