গত ২৯ জুন চীনের (china) অ্যাপে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 69 ধারা ব্যবহার করে এই অ্যাপ গুলিতে নিষিদ্ধ করা হয় এবং সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় যাতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষার প্রশ্নে বিপদজনক এই চিনা অ্যাপগুলি। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনার মাঝে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত চীনের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।

এবার ভারতের মতই চীনা অ্যাপ বন্ধের পথে হাঁটছে আমেরিকাও। আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও সংবাদ মাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন। এর আগে তিনি সাক্ষাৎকারে ভারতের অ্যাপ ব্যান সম্পর্কে বলেছিলেন, “আমরা নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপসের উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানাই … (এটি) ভারতের অখণ্ডতা এবং জাতীয় সুরক্ষা বাড়িয়ে তুলবে,”

প্রসঙ্গত, টিকটকের জনপ্রিয়তা মূলত ভাগ হয়ে যাচ্ছে চিঙ্গারি ও রোপোসোর মধ্যে। রোপোসোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ দিনেই ১ কোটি মানুষ ডাউনলোড করবে বলে আশা করছে রোপোসো।অ্যাড টেক ইউনিকর্ন ইনমবি প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নবীন তিওয়ারি দাবি করেছেন যে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি রোপোসো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১০ গুন লোক ডাউনলোড করেছে। এটি ভারতীয়দের দ্বারা চাইনিজ অ্যাপগুলি আনইনস্টল করার কারণে। ভারতীয়রা টিকিটলক, শেয়ারটাইট, ক্যামস্ক্যানার, ইউসি নিউজ, ওয়েচ্যাট, হ্যালো সহ অনেকগুলি অ্যাপ্লিকেশন দ্রুতই আনইনস্টল করেছে।

পাশাপাশি চিঙ্গারির উদ্যোক্তা সুমিত ঘোষ দাবি করেছে, “অ্যাপে প্রতি মিনিটে প্রায় 10,000 ব্যবহারকারী রয়েছেন। প্রতি ঘন্টা 3 মিলিয়ন ভিডিও স্যুইপ করা বা দেখা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টা ২ মিলিয়ন ভিডিও দেখা হয়েছে। প্রতি ঘন্টা 90,000 নতুন ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশনটিতে যোগদান করছে” সহজেই এর থেকে এই প্ল্যাটফর্মটির জনপ্রিয়তা যে কি হারে বাড়ছে বোঝা যাচ্ছে।

গুগল অ্যানালিটিক্সের যে তথ্য টুইটারে সুমিত ঘোষ শেয়ার করেছেন তাতে আশ্চর্য হতে হয়। ব্যবহারকারীরা কেবল ভারত নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব এমনকি মার্কিন মুলুকেও বাড়ছে জনপ্রিয়তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.