দীঘায় পর্যটককে বাঁচাতে গিয়ে এক নুলিয়ার মৃত্যু হয়েছিল প্রায় বছর দুয়েক আগে। সেই নুলিয়ার স্ত্রী-কে নুলিয়ার চাকরি দেওয়ার কথা ছিল প্রশাসনের। কিন্তু এখনও চাকরি দেওয়া হয়নি তার স্ত্রীকে। প্রশাসনের দোরগোড়ায় ঘুরে ঘুরে কোনও কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি এলাকার বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী অখিল গিরির কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেলেও কোনও কাজ হয়নি।
শেষে কাঁথির মহকুমা শাসকের দফতরের দোরগড়ায় ধরনায় বসলেন বৃদ্ধা শাশুড়ি ও বাচ্চাদের নিয়ে। শেষমেষ কোন কিছু না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলেও জানালেন মৃত্যু নুলিয়ার স্ত্রী।
খাওয়ার দাওয়ার জুটছে না। চলছে না সংসার। ছেলে মেয়েদের প্রতিপালন করতে পারছেন না তাই তার এমন ধরনা বলে জানালেন মৃত নুলিয়া সঞ্জয় সিটের স্ত্রী মানসী সিট। গত ৪ মার্চ ২০২১ সালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সংসারে একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি ছিলেন সঞ্জয়।
বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছেন। আর অসুখের ওষুধ কিনতে হয়। দুই শিশু সন্তান নিয়ে মৃতের স্ত্রী মানসী সংসার টানতে না পেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী কোনও নুলিয়া পর্যটককে রক্ষা করতে গিয়ে এই ভাবে প্রাণ হারালে তার পরিবারের কাউকে তার পরিবর্তে নুলিয়ার কাজ দেওয়া হবে।
দু’বছর কেটে গেলেও নুলিয়ার কাজ পাননি মানসি। তিনি নুলিয়ার কাজ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন। নিজে ভাল সাঁতার জানেন। মহিলা পর্যটকদের রক্ষার জন্য তিনি ঝাঁপিয়েও পড়তে পারবেন। সবকিছু জেনেশুনে প্রশাসন কিছুই করছে না বলে অভিযোগ তাঁর।