প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী বাসে উপচে পড়ল ভিড়। সরাসরি দার্জিলিংয়ের বাস পেয়ে খুশি যাত্রীরা।
শৈল শহর বলে পরিচিত দার্জিলিং। আর এই দার্জিলিং পাহাড়ে ভ্রমনের সুযোগ কেউই হাত ছাড়া করতে চায় না, তার প্রমাণ দেখা গেল মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার জলপাইগুড়ি শান্তি পাড়ার ডিপোতে। বাস ছাড়ার আগে ত্রিশ আসনের বাসের টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যাত্রী আসন পূর্ণ হয়ে যায়।
এ দিন সকাল সাড়ে আটটায় দার্জিলিংগামী বাস ছাড়ার কথা ছিল। সকাল আটটায় টিকিট কাউন্টার খোলা হয়, পনেরো মিনিটে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। বাসে ত্রিশটি আসন থাকায় অনেকেই টিকিট পাননি। নিরুপায় হয়ে কেউ শিলিগুড়িগামী বাসে উঠে শিলিগুড়ি থেকে অন্য বাসে দার্জিলিং যাবেন আবার অনেকে বাড়ি ফিরে গেলেন। এদিন প্রথম দিনেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা অর্পিতা ভদ্র। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী বাস চলাচল শুরু হওয়ায় খুবই ভাল লাগল। কারণ আমাদের জলপাইগুড়ি থেকে কোথাও গিয়ে টিকিট কেটে গাড়িতে ওঠার চিন্তা থাকলো না। জলপাইগুড়িতেই টিকিট কেটে গাড়িতে উঠতে পারছি। সিটের একটু সমস্যা আছে। বসার সিটগুলি যদি একটু উন্নতমানের হত তাহলে ভাল হয়।”
দার্জিলিংগামী বাসের চালক গোপাল দাস তিনিও পাহাড়ি পথে গাড়ি চালাবেন বলে মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি পথে আমি গাড়ি চালিয়েছি আমার কোন অশুবিধা হবে না। আজকে সরকারি ডিপো থেকে প্রথম দার্জিলিংয়ে বাস চালিয়ে নিয়ে যাব এর মজাটাই আলাদা।”
প্রথম দিনের শুরুতেই খুশি জলপাইগুড়ি ডিপোর অন্যান্য কর্মিদের পাশাপাশি ডিপো ইনচার্জ দীপক রাহা বলেন, গতকাল এই দার্জিলিংগামী বাসটির শুভ সুচনা করেন এনবিএসটিসি চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া। বাসের সিট নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার বাসের
সিট একই রকম জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে আলাদা কিছু নেই।