কোভিড আক্রান্তদের পাশে রূপম, পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী

দেশ তথা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির পথে। হাহাকার উঠেছে দেশ জুড়ে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন, ওষুধের ঘাটতি ছাড়াও যেসব করোনা রোগীরা বাড়িতে হোম আইসলেশনে রয়েছেন তারা ভোগ করছেন একাধিক সমস্যা। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন রূপম ইসলাম ও তার ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিলস ফোর্স’ এর সদস্যরা।

অনেক সময়েই করোনা আক্রান্তরা পাচ্ছেন না খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। কোন বাড়িতে করোনা হানা দিলে অবহেলার চোখে দেখছেন প্রতিবেশীরা। সংক্রমণের ভয়ে সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসছেন না কেউই। তাই সেই সব মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রূপম ইসলাম। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে লেখা আছে, ‘কোভিড আক্রান্ত বাড়ি বা অন্যান্য সমস্যার কারণে যারা বেড়িয়ে ওষুধপালা, বাজার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না, কমেন্ট করে জানান আমাদের, আপনার এলাকায় আমাদের প্রতিনিধি থাকলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব আমরা। তারা আপনার জন্যে জিনিস কিনে পৌঁছে দিয়ে আসবে’।

এই উদ্যোগ নেওয়ায় রূপম ইসলামকে সহযোগিতা করেছেন তার স্ত্রী রূপসা দাসগুপ্ত। রূপসা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের এক আত্মীয়ের পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিলস ফোর্স’ এর ছেলেমেয়েরাই তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল। তখনই এই দম্পতির মাথায় আসে বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগান যেতে পারে এই প্রচেষ্টাকে। সরাসরি অক্সিজেন বা বেড দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারলেও তাদের অন্যান্য প্রয়োজনে এগিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েই এই প্রচেষ্টা।

ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সাড়া পড়েছে তাদের এই উদ্যোগে। প্রয়োজনে সাহায্য চেয়েছেন বহু মানুষ। এছাড়া অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে বাড়ি বাড়ি প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।

এই করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করেই দেদার চলছে নির্বাচনী প্রচার। মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামাজিক দূরত্ব কোন কিছুরই বালাই নেই। তবে রূপম ইসলাম এই পরিস্থিতিতে কিছুটা সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করেছেন। গত বছর ৭ই মার্চের পর থেকে নিজের শো বন্ধ রেখেছেন গায়ক। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে শো করলে একসঙ্গে এত মানুষ জোর হবে, তারা নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে পাড়বে না। ফলে সংক্রমণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.