বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল কাতার। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারল না। ১২ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়েছিল। প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলতে নামলেও দেশের সমর্থকরা হতাশা উপহার দিল কাতার।
প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে ০-২ গোলে হেরে যায় কাতার। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে তারা সেনেগালের কাছে হারল ১-৩ গোলে। শেষ ম্যাচ খেলতে হবে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে যে তারা জিতবে, এমন স্বপ্ন কাতারের অতি বড় সমর্থকও দেখছেন না। গ্রুপে দুই কমজোরি প্রতিপক্ষ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না কাতার। এশিয়ার বাকি দেশগুলি যেখানে বিশ্বকাপে চমকে দিচ্ছে, সেখান কাতারকে বিদায় নিতে হল এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।
২০১০ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল উরুগুয়ে। দিয়েগো ফোরলানের জোড়া গোলে শাবালালার দল হেরে যায় ০-৩ ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য চমকে দেয় তারা। ২০০৬-এর বিজয়ী ফ্রান্সকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মেক্সিকোর সঙ্গে একই পয়েন্ট (৪) থাকলেও গোলপার্থক্যে তৃতীয় স্থানে শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক পয়েন্ট নিয়ে ফ্রান্স শেষ করে সবার নীচে।
দক্ষিণ আফ্রিকা তবু ফ্রান্সকে হারিয়েছিল। কাতারের সামনেও সুযোগ রয়েছে অঘটনের। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে যদি চমকে দিতে পারেন আলমোয়েজ় আলিরা, তা হলে অন্তত মাথা উঁচু করে বিদায় নিতে পারে তারা। কারণ, এর পর কবে বিশ্বকাপে দেখা যাবে তাদের, সেটা কেউই জানেন না।