স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে থাকতে চান না। এই অবসাদে গঙ্গায় ঝাঁপ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল চন্দননগরে। যদিও বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
হুগলির (Hooghly) রিষড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম অমিত পাণ্ডে। চন্দননগরের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। জানা গিয়েছে,দীর্ঘদিন ধরেই দম্পতির মধ্যে প্রবল অশান্তি চলছিল। যার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অমিত। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দুপুরে অমিত চন্দননগর রানীঘাটের কাছে এসে হঠাৎ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। তাঁকে ভাসতে দেখে ঘাটের কর্মী, জলসাথী এবং পুলিশের টি এইচ জি জল থেকে উপরে তুলে আনেন। তড়িঘড়ি চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। এরপরই প্রশ্ন করা হয়, কেন এই কাণ্ড? উত্তরে অমিত জানান, তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে থাকতে চাইছে না। সেই কারণে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। যার ফলে মৃত্যুর সিদ্ধান্ত। এবিষয়ে অমিতের স্ত্রী বা শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও তারা অমিতকে দোষারোপ করতে ছাড়েননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে চন্দননগর থানা।