দিল্লি তখন গভীর ঘুমে। রাত ২টো নাগাদ প্রবল একটা ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙেছিল রাজধানীর বাসিন্দাদের। আধো ঘুমে তখন তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছিলেন, কী ঘটেছে। পরে চার দিকে হইহই পড়ে যায়। উৎসস্থল ছিল নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৩। আর সেই কম্পনই অনুভূত হয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড-সহ উত্তর ভারতের একাংশে।
ট্রেন ধরবেন বলে দিল্লি স্টেশনে অটোয় চেপে যাচ্ছিলেন এক যাত্রী। সবে অটো থেকে নেমেছেন, আর তখনই একটা ঝাঁকুনি অনুভব করেন তিনি। তত ক্ষণে বুঝে গিয়েছিলেন কী ঘটল। চালক এবং যাত্রী, দু’জনের মুখই আতঙ্কে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। সম্বিৎ ফেরে আশপাশের চেঁচামেচিতে। তত ক্ষণে স্টেশন চত্বরে ভূমিকম্প নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অটোচালক রমেশ বলেন, “এক যাত্রীকে স্টেশনে নামাতে এসেছিলাম। অটো থামিয়ে রাস্তায় পা দিতেই কম্পন অনুভব করি। দু’জনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।”
কেঁপে উঠেছে নয়ডাও। রাতে তখন অফিসে কাজে ব্যস্ত ছিলেন সানি। হঠাৎই তাঁর মনে হয় মাথাটা ঘুরছে। অফিসটা কেমন যেন দুলছে। বুঝে ওঠার আগেই অফিসের অ্যালার্ম বেজে উঠেছিল। তখন সবাই দৌড়াদোড়ি শুরু করে দিয়েছিল। সানির কথায়, “তখন বুঝলাম ভূমিকম্প হয়েছে। এক মুহূর্ত দেরি না করে অফিসের বাইরে চলে এসেছিলাম।”
দিল্লির এক বাসিন্দা বিশেষ বলেন, “রাতে অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎই গোটা বাড়িটা কাঁপতে শুরু করল। পড়িমরি করে অফিসের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম।”