সরস্বতী পুজো মানেই ঠাকুরের কাছে বইখাতা দিয়ে পড়াশোনার ছুটি। বিদ্যাদেবী ওই দুদিন সব বইখাতা নেড়েচেড়ে আশীর্বাদ করে দেবেন। তাঁর আশীর্বাদের জোরেই অঙ্ক পরীক্ষায় পাশের গণ্ডি উৎরে যাবে। ইংরাজিতে টেন্স ভুল হবে না। তাই পরীক্ষায় পাশ করতে জিভ দিয়ে জল গড়ালেও কুল খাওয়া চলবে না।
ছোটোবেলা থেকে এই ধারণাই গড়ে ওঠে প্রতিটা পড়ুয়ার মনে। বাড়ির বড়োরা কুল খেলে রীতিমতো আঙুল তুলে বকে দেন, “কুল খেলি তো? দেখবি পরীক্ষায় কুলের মতো গোল্লা পাবি।” অতএব ইচ্ছা হলেও উপায় নেই। কিন্তু জানেন কি কেন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই? অনেকে বলেন মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে কুল সেভাবে পুষ্ট হয় না। কাঁচা থাকে। কখনও আবার কশযুক্ত থাকে। এই কুল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। তবে এ সব তো ডাক্তারি শাস্ত্রের কথা। কিন্তু জানেন কি? এই কুল না খাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি দুর্দান্ত পৌরাণিক গল্প?
about:blank
এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মহামুনি ব্যাসদেব। কথিত আছে, একবার তিনি তাঁর বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা শুরু করেছিলেন। বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ পিপাসু ছিলেন তিনি। তখন দেবী তাঁর আসনের সামনে একটি কুলের বীজ রেখে দেন। মহানুনিকে তিনি বলেন, যেদিন এই কুল অঙ্কুরিত হয়ে নতুন গাছ হবে, সেই গাছে আবার কুল হবে আর সেই কুল পেকে টুপ করে খসে ব্যাসদেবের মাথায় পড়বে, সেদিন তাঁর তপস্যা পূর্ণ হবে। তুষ্ট হবেন দেবী। আশীর্বাদ করবেন মহামুনীকে।
ব্যাসদেব মেনে নেন সেই শর্ত। তিনি তপস্য়ায় বসেন। ক্রমে ঋতু যায়, বছর কাটে। এক সময় সেই কুল থেকে গাছ হয়, গাছ বড় হয়, তাতে ফলও ধরে। এরপর সেই দিন আসে যখন কুল পেকে ঝরে পড়ে মহামুনির মাথায়। দিনটি ছিল পঞ্মী। ব্যাসদেব বুঝতে পারেন বিদ্যার দেবী তুষ্ট হয়েছেন। আশীর্বাদ করেছেন তাঁকে। এরপর দেবীকে কুল অর্পণ করে, প্রণাম করে ব্রহ্মসূত্র রচনা শুরু করেন তিনি। এই কারণেই সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়ার প্রচলন নেই। দেবী সরস্বতীকে কুল নিবেদন করার পরই সেই ফল খাওয়া হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.