বিরোধীরা যেন ইস্যু তুলতে না পারে। আপনারাই একের পর এক ইস্যু তুলুন। সেই ইস্যু নিয়েই সংসদে বিতর্ক হোক। সংসদে শীত অধিবেশন শুরুর আগের দিন, রবিবার বিজেপির সাংসদদের এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির ১০ জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। প্রাক্তন মন্ত্রী জুয়াল ওরাওঁ প্রস্তাব দেন, অযোধ্যা রায় ও রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। মোদী সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক এমপি জানিয়েছেন, মোদী সাংসদদের বলেন, শীত অধিবেশনে কী ইস্যু তোলা যায়, আপনারা ভাবুন। তখন জুয়েল ওরাওঁ বলেন, “অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা তুললে কেমন হয়?” মোদী বলেন, “ওই ইস্যুতে সংসদের কিছু করার নেই। এটা কোর্টের ব্যাপার। এক্ষেত্রে কাজ করবে প্রশাসন। সেজন্য প্রশাসন নির্দিষ্ট সময় নেবে।” এর পরে বৈঠকে আর কেউ রামমন্দির নিয়ে কথা বলেননি।
মোদী তাঁর ভাষণের শুরুতেই বলেন, সংসদে এমপিদের নিয়মিত উপস্থিত থাকা খুব জরুরি। তাঁর কথায়, “আমি গত পাঁচ বছর ধরে একটা কথা বলে আসছি। বিরোধীরা সবসময় চেষ্টা করবেন যাতে সংসদ মসৃণভাবে চলতে না পারে। গত অধিবেশনেও তাঁরা সেই চেষ্টা করেছেন। আমাদের সব এমপি যদি উপস্থিত থাকেন, তবেই আমরা তাঁদের মোকাবিলা করতে পারব।”
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, গত অধিবেশনে কী ঘটেছে এবং আগামী অধিবেশনে কী ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে? তিনি সেই প্রসঙ্গে জানান, বিরোধীরা ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক মন্দা ও চাকরির সুযোগ কমে যাওয়া নিয়ে নোটিশ দিয়েছেন। মোদী বলেন, আমরা আদিবাসীদের নানা ইস্যুর ওপরে জোর দেব। আদিবাসী প্রধান রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদী ওই কথা বলেছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
বৈঠকে উপস্থিত বিজেপির এক এমপি বলেন, মোদীজির বক্তব্য স্পষ্ট। তিনি চান, সরকারপক্ষ ইস্যু তুলুক ও সেই ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হোক। বিরোধীদের তোলা ইস্যু যেন বেশি গুরুত্ব না পায়।