হজরত মহম্মদ বিতর্কে হিংসার ঘটনায় তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। গতকাল গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক হিংসার ঘটনা সামনে আসে। সেই প্রেক্ষিতে ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হিংসাত্মক বিক্ষোভ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবারও রাজ্যে জারি ছিল অবরোধ। শুক্রবারের নমাজের পর কলকাতা, হাওড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অবরোধ রুখতে একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাস মোড় পথ অবরোধ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। যার জেরে মধ্য কলকাতার যান নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে।
এদিকে হাওড়ার ধূলাগড়েও হয় একই রকম পথ অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। বর্ধমান শহরেও প্রতিবাদ মিছিল করেন মুসলিমরা। অঙ্কুরহাটিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন মুসলিমরা। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও অবরোধ তোলেননি তাঁরা। বেলা ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে অবরোধ।
এদিকে এই বিক্ষোভের জেরে ভারতীয় রেল একাধিক ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শনিবার বাতিল করা হয়েছে টাটানগর-হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস। তাছাড়া বাতিল হয়েছে আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস ও ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস। এদিকে একাধিক ট্রেনের সময়সূচিও বদল করতে বাধ্য হয়েছে রেল। হাওড়া-পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিতলিগড় কান্তাবাঞ্জি ইস্পাত এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের পরে ছাড়বে।